ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেনাপোলে প্রবাসী জামাল হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

  বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ মে ২০১৯, ২২:২৭

বেনাপোলে প্রবাসী জামাল হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

যশোরের বেনাপোলে প্রবাসী জামাল হোসেনের খুনিদের আটক ও দ্রুত বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী। সোমবার দুপুরে বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা মাদ্রাসার সামনে এই মানববন্ধন করা হয়।

স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শ্বশুরবাড়িতে খুনের শিকার প্রবাসী জামালের ছোট ভাই মামলার বাদী বাবলুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ভাইয়ের তিন হত্যাকারীর নাম উল্লেখ্য করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরও তাদের নামে মামলা হলো না। এখন শুনছি আমার ওই মামলায় সব অজ্ঞাত আসামি। তখন আমি পুলিশের কাছে মামলার কপি চেয়েছিলাম। তারা বলেছিল পরে দেব। এখন বুঝতে পারছি আসামিদের বাঁচানোর জন্য আমাকে মামলার কপি দেয়নি। আমরা এ মামলা মানি না, প্রয়োজনে আদালতে মামলা করবো।

এ দিকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত মামলা দায়ের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিবেশিরাও। গ্রামবাসীরা জানান, অভিযুক্তদের তিন দিন থানায় আটকে রেখে পুলিশ দেনদরবার করে। এত বড় একটা ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাবে? রাতে জামাল তার স্ত্রীর সঙ্গে ঘরে ছিল। গভীর রাতে তাকে বাড়িতে কুপিয়ে খুন করা হলো। পুলিশ বাড়ি থেকে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে আটকও করল। এ মামলায় আটকরা সকলে অজ্ঞাত আসামি কিভাবে হয়?

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, তদন্ত শেষ না হওয়ায় আটকদের নামে হত্যা মামলা হয়নি। অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ওটা ওদের কথা ।

এর আগে প্রতিবেশি রেজাউল টুকির মেয়ে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয় হত্যার শিকার জামালের। বিয়ের পর সে সংসারে সচ্ছলতা আনতে বিদেশ (মালয়েশিয়া) যায়। সেখানে থাকাকালে টাকা-পয়সা সব শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতো। ইতিপূর্বে সে তিন বার বাড়িতেও এসেছে। কিন্তু স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। এর আগেও জামালকে একবার হত্যার চেষ্টা করে স্ত্রী।

গত ১৪ মে জামাল বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরে। এদিন সে উপহার সামগ্রী নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যায়। হঠাৎ রাত ১২টায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন চিৎকার করে রোহিঙ্গারা জামালকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে বলে প্রচার করে। পরে জামালের স্বজনরা শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখে ঘরের সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে আছে।

পরে তারা বুঝতে পারে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে জামালকে খুন করে রোহিঙ্গা নাটক সাজিয়েছে। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাড়ি থেকে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করে।

বিষয়টি নিয়ে ওইদিন পোর্টথানা পুলিশের ওসি (তদন্ত)সৈয়দ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তারা অভিযুক্ত মনে করে জামালের স্ত্রীসহ তিন জনকে আটক করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত