ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বিচার বিভাগ কতোটা স্বাধীন সেটার প্রমাণ হলো: কাদের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৯, ১৬:২৭

বিচার বিভাগ কতোটা স্বাধীন সেটার প্রমাণ হলো: কাদের

দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে ছয় মাস করে জামিন দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রমাণিত হলো, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কতোটা স্বাধীন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওলায় ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে’র কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলছেনা বিএনপির এমন অভিযোগ কতোটা সত্য জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সব সময়ই বলে আসছি। বিচার বিভাগ স্বাধীন ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। শেখ হাসিনা সরকার এই পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রমে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করে নি। বেগম জিয়ার মামলায়ও আলাদা কিছু হয় নি। এখানে আদালত যখন যেই মামলায় জামিন দিতে চেয়েছে, তা স্বাধীন ভাবে জামিন দিয়েছে। আজকেও যে জামিন দিয়েছে, এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কতটা স্বাধীন সেটা আবার প্রমাণিত হলো।

তিনি বলেন, তারা শুধু শুধু বলার জন্যই বলেছেন, বিরোধীতার জন্য বলেছেন। বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে, তারা দলীয় ভাবে কিছু করতে না পেরে সব কিছু সরকারে ঘারে চাপায়, যত দোষ নন্দ ঘোষ। এটাই তাদের রাজনীতি। আজকে আবারও প্রমাণিত হলো বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। তিনি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পথে যে অন্তরায় গুলো আছে। সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে জামিন পাবেন, আদালত যদি নির্দেশ দেন তাকে জেলে রাখা হবে না, মুক্তি দেওয়া হবে। এখানে সরকারের কোন বাধা থাকতে পারে না। সরকার এখানে কোন অন্তরায় নয়। এটা আদালতের ব্যপার। সব মামলা থেকে জামিন পেলে মুক্তির বিষয়ে সরকার অন্তরায় হবে না।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার বগুড়ায় ইভিএম দিয়েছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অতীতে দেখা গেছে ইভিএম যেখানে হয়েছে, সেখানে বিরোধী দলই সুবিধাটা বেশি পেয়েছে, বিরোধী দলই জিতেছে। কাজেই টেকনলজি নিয়ে সন্ধেহ করার কোন কারণ নেই। বগুড়ায় সুষ্ঠ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

মেট্রো রেলের মত পাতাল মেট্রো রেলের দৃশ্যমান কাজ এ বছরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

তিনি জানান, পাঁচটি ফেইজে পাতাল রেলের কাজ হবে। এম আরটি লাইন ১, এমআরটি লাইন২, এমআরটি লাইন ৪, এমআরটি লাইন ৫ ও এম আরটিলাইন৬। আমরা আশা করছি ২০৩০ সালের মধ্যে সবকটি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে।

ওবায়দুল কাদের জানান, এমআরটি লাইন ১ এন্ড ৫ এর কাজ আগে হবে। যেখানে এমআরটি লাইন ১ এ আছে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার, আর ৫এ আছে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। এখন ইজিবিলিটি টেষ্ট চলছে, এ বছরেই দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে।

এছাড়া ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) প্রজেক্ট এর কাজও ২০২২ সালের মার্চে শেষ হবে। ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসের কাজটি পিপিপি প্রজেক্ট করছে। চায়না এক্সিম ব্যংক এই প্রজেক্টের অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পটি দীর্ঘদীন ঝুলে ছিল অর্থায়নের জন্য। এখন কাজ পুরুদমে চলছে। ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসের কাজও এখন দৃশ্যমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্ধর, কুড়িল বনানী মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়দাবাদ ও যাত্রাবাড়ী, ঢাকা চট্রগ্রাম মহা সড়কের কুতুর খালী এই লাইনের দৈঘ্য ১৯.৭০ বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে এয়ারপোর্ট থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার ও শেষ ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কাজ হবে। প্রথম ধাপের কাজ আগামী জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে। আর মোট কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত