প্রেমিক ‘গরীব’, পরিবার না মানায় সুইটি’র আত্মহত্যা
ময়মনসিংহের ভালুকায় কবির আহমেদ নামে এক কলেজে ছাত্রের সাথে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় পরিবারের সাথে অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মারিয়া আফরোজ সুইটি (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত সুইটি উপজেলার পুরুড়া গ্রামের তেতুলিয়াপাড়ার কুয়েত প্রবাসী মোতাহার হোসেন সবুজের মেয়ে।
সুইটি বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) উপজেলায় ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ডে বিষপান করে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে নিহতের বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেধাবী ছাত্রী মারিয়া আফরোজ সুইটির সাথে দেড় বছর ধরে একই গ্রামের তাজুল ইসলাম তাজেলের কলেজ পড়ূয়া ছেলে কবির আহমেদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো কিন্তু সুইটির বাবা মা তার মেয়ের এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ছেলে পক্ষ বিয়ের জন্য মেয়ের বাবার বাড়িতে লোক পাঠালে ছেলে গরীব হওয়ায় বিয়ে দিবেনা বলে না করে দেয়া হয়। এ নিয়ে গত এক বছরে দুই পরিবারের মাঝে বেশ কয়েকদফা আলোচনাও হয় কিন্তু মেয়ে পক্ষ ঘটনাটি কোনভাবেই মেনে না নেয়ায় গত বুধবার সুইটি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটান দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘আমাকে বুঝার ট্রাই তোমরা কোনদিন করোনাই……যেইদিন আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাবো অচিনপুর তখন তোমরা আমাকে বুঝবা আমি কি ছিলাম, তোমরা তখন চাইলেও কেউ আমাকে ফিরে পাবে না, বাই’।
এরপর গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে সুইটি স্কুলে আসেন এবং দুপুরের বিরতির সময় তিনি ভালুকা সদরে গিয়ে ইঁদুর মারার বিষ কিনে খেয়ে বাসে চড়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাস থেকে ভরাডোবা বাসস্যান্ড নামার পর তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পরে যান। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ময়মনসিংহ মেডক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঘটনার রাতেই তিনি হাসপাতালে মারা যান।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রীর আত্মহ্যার পর ময়নাতদন্ত শেষে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরবর্তিতে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই
