ডিভোর্স ও কাবিনের টাকা নিয়ে নারী নির্যাতনের মামলা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৩৬ আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৪০
ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে সাবেক এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগি ফিরোজ আলম।
গত শনিবার কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফিরোজ আলম বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার ছেলে রাব্বি আলম ডিজুর সাথে কোটচাঁদপুর পূর্বপাড়ার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলামের মেয়ে নিতুর বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। দিন যত যায় অশান্তি বাড়তে থাকে। বউমা নিতু পুলিশের মেয়ে হয়ায় সে প্রায় সময় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এছাড়া সে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপরও আমরা সংসার টেকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু একদিন সে তার মাকে খবর দেয়। মা এলে বলে তার স্বামীর সঙ্গে আর ঘর সংসার করবে না।
তিনি বলেন, এরপর তারা বাসার সকল মূল্যবান জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে যায়। বেধে রেখে যায় আরো মালামাল। এরপর কোন উপায় না দেখে আমার ছেলে ডিজু আইন মোতাবেক তার কাবিন ও খোর পোশের টাকা ও তালাক নামা পত্র সহ গেল ১১-০৯-১৯ তারিখে ডাক যোগে পাঠিয়ে দেন। যা তারা গত ১৬-০৯-১৯ তারিখে ডাক ঘর থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও তালাক নামা গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বউমা নিতু তার কাবিন ও খোর পোশের টাকা নেওয়ার আগেই ডিজুসহ ৭ জনকে আসামি করে নারী নির্যাতন আইনে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেন। যার মধ্যে ৬ জন জামিনে মুক্তি পেলেও ডিজু জেল হাজতে রয়েছে। এরপরও সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম ছেলে ডিজু জেল থেকে জামিন পেলে পেন্ডিং মামলা সহ ফেন্সিডিল, ইয়াবা মামলার হুমকি অব্যহত রেখেছেন।
ফিরোজ আলম বলেন, এছাড়া তিনি (সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম) আমার বিরুদ্ধে খুলনা আদালতে একটা মামলাও করেছেন। হুমকি দিচ্ছেন আরো মামলা দেবার।
বেয়াইয়ের এ ধরনের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগি।
সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন ফিরোজ আলমের ভাই ভুট্টো ও তার ছোট ছেলে জিত।
এদিকে সাবেক পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলামকে বারবার কল করেও পাওয়া যায়নি।