ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এইডারে কি রাস্তা কয়!

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০০

এইডারে কি রাস্তা কয়!

‘এইডারে কি রাস্তা কয়, আপনারাই কন ভাই, না যায় গাড়ী না হাটা। আর কত কাল এমন ভোগান্তি হবে আমাগো কইতে পারেন ভাই। পোড়া কপাল আমাগো। কত নেতা , এমপি মন্ত্রী আইলো গেলো, এই রাস্তাটা কারো চোখেই পড়ল না।’এমন করে বলছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকার দিন মজুর আমজাদ হোসেন।

মাত্র ১ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার না হওয়ায় বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গোলাকান্দাইলের হাজারো মানুষ। শুকনো মৌসুমে ধুলা আর বর্ষায় কাদায় একাকার হয়ে থাকা সড়কটিকে ব্যবহারের অনুপযোগী বলছেন পথচারীরা। এলাকাবাসীর মতে, এই সড়ক বিপদজনক।

গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার ৫নং ক্যানেল থেকে নাগেরবাগ, বউবাজার এলাকা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ সড়কের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক, ইসলামবাগ আইডিয়াল স্কুল, নরুল ইসলাম মডেল স্কুলসহ গোলাকান্দাইল দঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র। সংযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে হাসেম ফুড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যাক্টরি। রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে সড়কটির প্রায় ১ কিলোমিটার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীরা বলছেন, বারবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দেওয়া হলেও গত পাঁচ বছরে সংস্কার করা হয়নি সড়কের এই অংশ। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ইসলামবাগ আইডিয়াল স্কুল ও নরুল ইসলাম মডেল স্কুলের সামনের ফটক থেকে নাগেরবাগমোড় পর্যন্ত সড়কটি কাদা-পানিতে ডুবে আছে। সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত। কোথাও কোথাও গর্তগুলো এক ফুট গভীর। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকা সেসব গর্তের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মালামাল বহনকারী যানবাহন।

সড়কের পাশে ফার্মাসিস্ট হাবিবুর রহমান টিটুর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কান্দাপাড়া, নতুনবাজার টু ৫ নং ক্যানেল সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ওইসব এলাকার রোগীদের ফার্মাসিতে আসতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।

সাম্প্রতিক সময়ে সড়কটির গুরুত্ব বেড়েছে। স্কুল মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান এই রাস্তা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অভিশাপ। সবসময় স্কুলে আশা যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা খোদার ৩০ দিনই ছোটখাট দুর্ঘটনার কবলে পরে। ইসলামবাগ আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী জনি মিয়া বলে, বৃষ্টি হলে কাদা–পানি ছিটকে এসে স্কুল ড্রেস সহ কাপড় চোপর নষ্ট হয়। শুষ্ক মৌসুমে ধুলার জন্য হাঁটা যায় না।

চিটাগাং রোড বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আইনুল মিয়া বলেন, এ সড়কের দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে অন্য রাস্তা হয়ে চলাচল করি। কিন্তু এই সড়কটির সামান্য অংশটুকুর জন্যই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছি না। ভয়ে থাকি কখন না অটোরিকশা উল্টে জীবনের পঙ্গু হয়ে যাই।

অটোরিকশা চালক লাল মিয়ার মতে, সড়কটি ভয়ঙ্কর। তিনি বলেন, প্রতিদিন অন্তত দু একটি দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি উল্টে যায়, হাত-পা ভাঙে। সড়কটির সর্বশেষ সংস্কার হয় ২০১৩ সালে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির মিয়া জানান সড়কটির কাজের বরাদ্দ পেলেই খুব শীঘ্রই সংস্কার কাজ শুরু করবো।

আর ইউপি চেয়ারম্যান মন্জুর হোসেন বলেন এ রাস্তার প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে। কাজের বরাদ্দ পেলেই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত