ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

জলাশয়গুলোতে পাকা সুপারি, ব্যাপক পরিবেশ দূষণ

  রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২১

জলাশয়গুলোতে পাকা সুপারি, ব্যাপক পরিবেশ দূষণ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেদারছে জেলার বিভিন্ন স্থানে জলাশয়গুলোতে ভেজানো হচ্ছে পাকা সুপারি। ভিজা সুপারির দুর্গন্ধে ব্যাপকভাবে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ আর ধ্বংস হচ্ছে জলজ প্রাণি।

অন্যদিকে বেশি লাভের আশায় পচা সুপারিতে রং ও বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এসব সুপারি থেকে মরণব্যাধি ক্যানসারসহ জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানালেন চিকিৎসকরা। তবে এজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করলেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রধান অর্থকরী ফসল সুপারি। দেশের উৎপাদিত সুপারির বেশির ভাগই উৎপাদন হয় এ উপজেলায়। চলতি বছরেও জেলায় সুপারির যে ফলন হয়েছে তার বাজার মুল্য সাড়ে প্রায় ১শ’৫০ কোটি টাকা। এখানকার উপাৎদিত সুপারির বেশির ভাগই খাল, ডোবা-পুকুর, নালায় ভিজেয়ে রেখে পরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

সূত্রে জানা যায়, সুপারি পাকা হাউসে ভেজানোর নিয়ম থাকলেও বেশি লাভের আশায় তা মানছেন না কেউ।

এদিকে স্থানীয় ডাকাতিয়া নদীর শাখাগুলো ও তফদার বাড়ি এলাকা, কাঞ্জনপুর, ১০নং রায়পুর, মিতালী বাজার, হায়দরগঞ্জ, উত্তর দক্ষিণ চরবংশী, চরলক্ষ্মী বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সুপারির পাকা রং ধরে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় ভিজানো হচ্ছে সুপারি। এতে করে পানি নষ্ট হয়ে নদীর মাছগুলো মরে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, যেন দেখার কেউ নেই।

অন্যদিকে কিছুদিন পরে ভিজা সুপারিতে মেশানো হবে বিষাক্ত রং। ফলে ক্যান্সারসহ মানবদেহে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তদারকির অভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছেন এসব ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় হাউজ না করে উম্মুক্ত জলাশয়ে সুপারি ভেজানোর ফলে পানি ব্যবহার করতে পারছেনা তারা। পাশাপাশি পঁচা সুপারির দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষদের দুর্বিসহ জীবন কাটাতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা সুপারি নদীতে ভিজানো ও রং মেশানোর কথা স্বীকার করে বলেন, ভালো দামের আশায় ও জেলার বাইরে বাজারজাত করতে নদীতে সুপারি ভিজানো ও তাতে রং মেশানো হয়।

রায়পুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইয়াছিন মাহমুদ জানান, রাস্তার পাশে খাল বা পুকুরে সুপারি ভিজানো ফলে যে দুর্ঘন্ধের সৃষ্টি হয় এতে করে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, জন্ডিস, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে স্থানীয়রা। এছাড়া সুপারির রং পরিবর্তন বা সুপারি সুস্বাদু করার জন্য যে সব রং বা কেমিক্যাল দেওয়া হচ্ছে তাতে মানবদেহে বিভিন্ন রোগসহ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত