কালীপূজা উপলক্ষে সাত দিনের মেলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:০৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালীপূজা উপলক্ষে চলছে সাত দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা। হাজারো মানুষের সমাগমে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে উৎসবের জনপদে। মিষ্টি ও গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পণ্য কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সব বয়সের তরুণ-তরুণীরা।
ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা মেলাটি যোরুবাবু রাজা নাধাইকৃষ্ণপুর এলাকায় প্রায় দেড়শ বছর আগে শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতা ধরে চলে আসছে এ মেলার কার্যক্রম। চাঁপাইনাববগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের নাধাইকৃষ্ণপুর গ্রামে এ মেলার আয়োজন করা হয়। কালীপূজা মন্দিরের ভক্তরা নিজের পরিবারের ও দেশের মঙ্গল কামনা করে মেলায় দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্রসহ বাহারি রঙ্গের চুড়ি, ফিতা ও আলতা কিনেন ছোট বড় সব বয়সের তরুণ-তরুণীরা। গ্রামের মেঠোপথের দুই ধার জুরে বসেছে বাহারি দোকানিরা। মেলা বিক্রি হচ্ছে কাঠের খাট, আলনা, ড্রেনিস টেবিল, খেলা ও প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য। এছাড়াও বাহারি মিষ্টির পরশা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। আর তা কিনতে ভিড় করছে সকলেই।
মেলা দেখা আসা শ্যামল বলেন, নাধাইকৃষ্ণপুর কালী পূজা মন্দিরটি আমার বাবা দাদা কাছে গল্প শুনেছি আজ তা দেখতে আসতে পারায় খুব ভাল লাগছে। আমার পরিবারের সবাই এ মেলা দেখতে আসেন।
বৃষ্টি রায় বলেন, কালী মায়ের কাছে আমার পরিবারের ও দেশের সব মানুষের মঙ্গল কামনা করলাম। যাতে সবাই আমরা ভাল ও সুস্থভাবে চলাফেরা করতে পারি।
শরিফ বলেন, মেলাটি নাধাই গ্রামে হলেও যেন মেলা ঘিরে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। আর এ মেলা প্রতিবছর হবে এমনটা প্রত্যাশা করি।
মিষ্টির দোকানদার বিরেন হেমরম বলেন, আমি ২০ বছর ধরনের নাধাই কালী পূজা মেলা মিষ্টি দোকান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বিক্রয় করে আসছি। আর মেলায় ভালই বেচা বিক্রি হয়।
মনোহারির দোকানি মারুফ বলেন, কালী পূজার শুরু একদিন পর থেকে এ মেলাটি ভালভাবে লাগে। আর ছোট বড় সব বয়সীয় তরুণ-তরুণীরা তাদের পছন্দের জিনিসগুলো কিনতে আসে। বেচা বিক্রি ভাল হওয়ায় ভাল লাগছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, নাধাইকৃষ্ণপুর কালী পূজা মেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় অনেক লোকের সমাগম হয় এ গ্রামীণ মেলায়।
তিনি আরো বলেন, ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা গ্রামীণ মেলাটিকে টিকিয়ে রাখতে আগামীতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালীপূজার এই মেলাটি চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ