ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

‘দগ্ধ ৩২ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৭

‘দগ্ধ ৩২ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক’

কেরানীগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকায় অবস্থিত ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৩৫ জনের মধ্যে ৩২ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কেরানীগঞ্জের অগ্নিদগ্ধদের অবস্থা পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দগ্ধদের সবার অবস্থাই খু্ব ক্রিটিক্যাল। দুয়েকজন ছাড়া সবারই ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ঢামেকের বার্ন ইউনিট থেকে ১১ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। দরকার হলে আরও রোগী সেখানে স্থানান্তর করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক, নার্স এবং ওষুধের কোনো কমতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লেগেছে। এ কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির পরিমাণটা বেড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মালিকের গাফিলতির কারণেই কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তাই মালিকপক্ষই ক্ষতিপূরণ দেবে। এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে কাজ করবে সরকার।’

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ ইনজুরি এটা। বদ্ধ ঘরের ভেতরে ছিল আগুনটা। যেহেতু প্লাস্টিকের কারখানা, মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়েছে।’

ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. আরিফুল ইসলাম নবীন জানান, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলেই মারা গেছে ১ জন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত