নবাবগঞ্জে প্রথমবার চাষ হচ্ছে মরুভূমির ফল ত্বীন
হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২১, ১৮:৪২ আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ২১:৩৫
বিদেশি ফল ড্রাগনের পর এবার পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন। গাছে পর্যাপ্ত ফল আশায় লাভের আশা দেখছেন নবাবগঞ্জের কৃষক মতিউর মান্নান। ডুমুর আকৃতির এই ফল দৃষ্টি কেড়েছে এলাকার মানুষের। এ ছাড়াও এই ফলের বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের। সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়ে পুরো দেশ। আর এ সময় পুঁজি হারিয়েছে অনেকে। আর এমনি পুঁজি হারা এক যুবক দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিউর মান্নান। তবে থেমে নেই তার জীবনের পথচলা, ছোট বোনের পরামর্শে গেলো বছরের অক্টোবর মাসে গাজীপুর থেকে ৯শ’ চারা এনে চার বিঘা পতিত জমিতে ত্বীন ফলের চাষ শুরু করেন তিনি।
চারা রোপণের দেড় মাসের মাথায় স্বপ্নের সেই ত্বীন গাছে আসতে শুরু করে ফল। আর স্বল্প সময়ে গাছে ফল আসায় পুঁজি হারা সেই দৃশ্য ভুলে গেছেন তিনি। এখন অপেক্ষায় আছেন পরিপক্ব হলে ঢাকার বাজারে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করে বাড়তি আয়ের।
নবাবগঞ্জে প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন
ডুমুর আকৃতির এই ফল দৃষ্টি কেড়েছে এলাকার মানুষের। এছাড়াও এই ফলের বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের। বাগানের ফল দেখতে ও চাষ পদ্ধতি জানতে ভিড় করছে অনেকে।
এদিকে বাগানটি পরিদর্শন করে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা ও এই ফলের চাষ বৃদ্ধি করতে এলাকার মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, প্রথমবারের মত ৪ বিঘা জমিতে লাগানো হয়েছে ৫ জাতের ৯শ’ টি ত্বীন ফলের গাছ। সরকারি সহযোগিতা পেলে এই ফলটি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে