ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

কিশোরগঞ্জ লক্ষ্মীপুরসহ ৮ জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:২০

কিশোরগঞ্জ লক্ষ্মীপুরসহ ৮ জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত

কিশোরগঞ্জ লক্ষ্মীপুরসহ আরো আট জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার পৃথক কয়েকটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

তবে এসব জেলার মধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পাঠানো নিয়োগপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, পটুয়াখালী, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার নিয়োগ কার্যক্রম সরাসরি স্থগিত করেছেন আদালত।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, জামিউল হক ফয়সাল ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আসাদ উদ্দিন বলেন, এরই মধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত এই নিয়োগপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এ কারণে ওই নিয়োগপত্রের ভিত্তিতে আপাতত কেউ চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন না। আদালত এ বিষয়ে রুলও জারি করেছেন। বাকি জেলাগুলোতে এখনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওইসব জেলায় নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ৬০ শতাংশ মহিলা, ২০ শতাংশ পৌষ্য এবং বাকি বিশ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই ওই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১-৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত