ঢাকা, রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক খোলার আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে শিক্ষকদের

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫০

প্রাথমিক খোলার আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে শিক্ষকদের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়নি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, স্কুল খোলার আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় যে সব প্রস্তুতি নিতে হবে তা জানানো হয়েছে। ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা’ প্রকাশের পরদিন বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের একথা জানান সিনিয়র সচিব।

ওই নির্দেশিকায় স্কুল খোলার ১৫ দিন আগে থেকে প্রধান শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বেশকিছু নির্দেশনা। এই নির্দেশনা জারির পর ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম বলেন, স্কুল খোলার পরিবেশ হলে প্রধান শিক্ষকদের গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রস্তুতির নির্দেশ দেবো।

আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ- এত আগে নির্দেশনা জারি প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব বলেন, স্কুলের শিক্ষকরা কিন্তু সরকারি কর্মচারী। লকডাউনের সময় অফিসগুলো বন্ধ ছিল। আমরা এখন অফিসগুলো খুলে সরকারি কাজ করছি।

‘যখন আমরা মনে করবো যে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে, স্কুলগুলো খোলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তার আগেই আমাদের প্রধান শিক্ষক, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেবো তোমরা এখন গাইডলাইন অনুসরণ করে স্কুলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করো, প্রস্তুতি গ্রহণ করো।’

সেই পরিস্থিতি এখন তৈরি হয়েছে কিনা- প্রশ্নে সচিব বলেন, তা বলবো না। আপনারা তো বোঝেন।

‘স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা বলিনি যে স্কুল খুলতে হবে, আজই তো প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাবে না। প্রস্তুতি নিতে তো সময় লাগবে। গ্রামে, রুট লেবেলে যে স্কুলগুলো আছে সেখানে আমরা মনে করছি এখনও পরিবেশ তৈরি হয়নি। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছি এখনও অনেক সময়। ’

স্কুল খোলার আগে প্রত্যেকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোন গাইডলাইন ফলো করবে আমরা সেটি জানিয়ে দিয়েছি বলে জানান সচিব আকরাম।

‘সেখানে আমরা বলেছি, স্কুলগুলো পরিষ্কার করতে হবে। থাকতে হবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। নিরাপত্তার জন্য নিশ্চিত করতে হবে মাস্ক। যেসব স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বেশি সেখানে শিফটিং করতে হবে। একদিন এক শ্রেণিকে আনলে পরের দিন আনতে হবে আরেক শ্রেণিকে।’

সচিব বলেন, এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্কুল খোলার পরিকল্পনা করবে। এই পরিকল্পনা প্রত্যেকটি স্কুলের জন্য এবং এতে সহায়তা করবেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুলগুলো পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেটি তারা তদারকি করবেন।

প্রসঙ্গত, দেশে সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা শুরু হয়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।

চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষাও মহামারীর কারণে স্থগিত রাখা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষাও নেয়া হবে না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত