ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

এমপিওভুক্তি না হলে আন্দোলনের ঘোষণা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২১, ১৭:২৩

এমপিওভুক্তি না হলে আন্দোলনের ঘোষণা
সংগৃহীত ছবি

নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধিত নীতিমালা জারি করে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছেন ননএমপিও শিক্ষকদের একটি সংগঠন। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে রাজপথে নেমে আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিনিতে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘প্রতি বছর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হলেও গত দুই বছর ধরে এ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। চলতি বছর ১ জানুয়ারি বই বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী সে মাসেই এমপিও নীতিমালা জারি ও আবেদন শুরুর ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা অবিলম্বে এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘২০১৮ সালে এমপিও নীতিমালা প্রকাশিত হলে ৯ হাজার ৬১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে। কিন্তু এমপিওভুক্ত হয় মাত্র ২ হাজার ৭৩০টি। এমপিও নীতিমালা নির্ধারিত কাম্য শিক্ষার্থী, পরীক্ষার সংখ্যা এবং পাশের হার পূরণ করতে না পারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিগত দুই বছর নীতিমালার কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। এই তিনটি সূচকের ভেতর পাশের হারের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর দোষ দেয়া হলেও শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানের আয়ত্তে নেই। বিদ্যমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এমপিও নীতিমালা প্রণয়নে ৬ দফা সুপারিশ জানানো হয়েছে।

১. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি অ্যাপ চালু করে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়া যাবে কি-না তা নিশ্চিত করা।

২. প্রতি শ্রেণির শিক্ষার্থী যোগ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাম্য যোগ্যতা নির্ধারণ করা। সেই সর্বোচ্চ শিক্ষার্থীর সীমা নির্ধারণ করা।

৩. জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ৫ বছর থেকে ৮ বছর বৃদ্ধিকরণ।

৪. একটি শ্রেণি থেকে পরবর্তী উচ্চতর শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমে যায়, তাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেএসসি শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর থেকে এসএসসিতে কাম্য সংখ্যা কিছুটা কম করা।

৫. মফস্বলের হাইস্কুলে নবম-দশম শ্রেণিতে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি হলেও বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী কম থাকে বলে সে বাস্তবতা বিবেচনা করা।

৬. পাঠদানের স্বীকৃতির মেয়াদ ১০ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহবায়ক শরীফুজ্জামান আগা খান। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক এম এ বারী তালুকদার, আবু বকর মো. এরশাদুল হক, শফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান জুয়েল, মাহবুবুর রহমান, হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

একে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত