ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

১৮ ফেব্রুয়ারিকে শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জাফর ইকবালের

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫২

১৮ ফেব্রুয়ারিকে শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জাফর ইকবালের

৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়া শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহার শাহাদাত বার্ষিকী ১৮ ফেব্রুয়ারি। দিনটিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

সোমবার দুপুরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. শামসুজ্জোহা স্মরণে আয়োজিত র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান তিনি। এর আগে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে স্থাপিত ড. শামসুজ্জোহার অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন জাফর ইকবাল।

তিনি বলেন, ড. জোহা নিজের প্রাণ দিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। ১৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করা দরকার। এই দিনটি উপযুক্ত। এর ফলে দেশের মানুষ জানতে পারবে ড. জোহার অবদানের কথা। তখন জোহার আদর্শে গড়ে উঠবে আরও অনেক শিক্ষক। কিন্তু আমরা এটি দিবস হিসেবে পাব কি-না জানি না। এর জন্য চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

দুপরে দিবসটি উপযাপন ও জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে দিবস উপযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো: মইনুদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য ইউশা রশিদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল বিশ্বাস, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সরকার সোহেল রানা, শাবি ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল আজম বিশ্বাস প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রদের বাঁচাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাদের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে এমনই উচ্চারণ করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৎকালীন প্রক্টর ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। সত্যিই সেদিন ছাত্রদের গায়ে গুলি লাগার আগে ঝাঁঝরা হয়েছিল তার বুক।

ড. জোহার রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। পতন ঘটে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও বেশি ভিত্তি দেয় ড. জোহার আত্মত্যাগ।

গণ-আন্দোলনে বিজয় এসেছিল বাঙালির। ফলে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ড. জোহাকে। সেই দ্রোহী জোহার শাহাদতের দিনটিকে দীর্ঘদিন ধরে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাবি প্রশাসন। কিন্তু ৫১ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত