নকল করায় ৯ শিক্ষার্থীর শাস্তি
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৮
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটির ৫৩ তম সভায় তাদের শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে আজাদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কমিটির সভায় তাদের শাস্তি সুপারিশ করা হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সুপারিশগুলো সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপিত হবে। বিজ্ঞ সিন্ডিকেট তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটির ৫৩ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন বিভাগের বার্ষিক ও সেমিস্টার পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় তাদের ব্যপারে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের হাসিবুর রহমান, সোলায়মান, আহসান খন্দকার এবং লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের তারিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেনের ওই শিক্ষাবর্ষের সকল কোর্স বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আবু জায়েদ এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসানেরও একই শাস্তির সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা কমিটি। পরীক্ষার সকল কোর্সের উত্তরপত্র বাতিল করায় তাদেরকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
এ ছাড়া আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের হোসনে আরা খাতুন এবং যুথী খাতুনের একটি কোর্স বাতিল করা হয়েছে। বাতিলকৃত ওই কোর্সে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। ওই কোর্সে মান উন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না বলেও জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- কোষাধক্য অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আনিসুর রহমান, শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব এ কে আজাদ লাভলু।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কারো অসদুপায় কোনো ক্ষেত্রে অসাদুপায় অবলম্বন করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’