ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ: সেই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ওএসডিস

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৭

সেই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ওএসডিস

পুরান ঢাকার বেসরকারি সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে শহিদ মিনার ও ছাত্রীদের কমনরুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন- অর- রশিদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত অধ্যক্ষ ইফতেকার আলীর লিয়েন বাতিল করে ওএসডি করা হয়েছে।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছে। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে মঞ্চে ওঠা, অবৈধভাবে নিয়োগ, প্রায় দুই লাখ টাকা মাসিক বেতন-ভাতা গ্রহণ, লুটপাট ও ছাত্রীদেরকে দিয়ে মানবন্ধন ও মিছিল করাতে বাধ্য করানোসহ নানা অভিযোগে তার লিয়েন বাতিল করা হলো।

বিতর্কিত ব্যক্তিকে কলেজ অধ্যক্ষ পদে বসানো ও লুটপাটে সহযোগিতা করার দায়ে কলেজের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদও বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ নিজ চোখে দেখেছেন পুরান ঢাকার সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ ইফতেকার আলীর যতসব কুকীর্তি। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক হয়েও লিয়েনে অবৈধভাবে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদ বাগানোসহ কয়েকডজন অভিযোগ ইফতেকারের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কলেজের অনুষ্ঠানে ইফতেকার আলীকে না দেখার মৌখিক নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী চলে যাওয়ার সাথে সাথে মঞ্চে উঠে বক্তৃতা শুরু করেন ইফতেকার। এতে বিব্রত হন উপস্থিত অনেকেই। ইফতেকারের অনুগত কয়েকজন জামায়াতপন্থি শিক্ষক ও ছাত্রীকে দিয়ে তার পক্ষে মিছিল করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদেরকে দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন করানোরও অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ইফতেকারের পক্ষে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের দুইজন কর্তা ও কয়েকজন জামাতপন্থি শিক্ষক। ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদেরকে উসকে দেয়া হচ্ছে। তবে, সব চেষ্টাই ব্যর্থ হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেয়াসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন বিতর্কিত অতিরিক্ত সচিব ইফতেকারের পক্ষে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে।

এছাড়া সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ পদে ইফতেকার আলীর নিয়োগ অবৈধ। তাকে প্রচলিত বিধান অনুযায়ী কলেজটিতে নিয়োগ দেয়া হয়নি। কলেজটিতে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তকরণের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ওঠা ‘টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ গাইড বই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তকরণের’ অভিযোগেটির সত্যতাও পেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তারা। দুই মাস আগে জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনটির সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন না করে ফ্রিজে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে থাকা ইফতেকার সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

তথ্য মতে, ইফতেকার আলী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত পরিসংখ্যানের শিক্ষক। তিনি এর আগে ঢাকা কলেজে ছিলেন। তদবির করে লিয়েনে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ পদ বাগান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত