ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

কীভাবে কাটছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের করোনার অবসর

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২০, ২০:১৩

কীভাবে কাটছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের করোনার অবসর

করোনা মহামারিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। বন্ধের এই দীর্ঘ অবসরে ঘরের মাঝেই কাটছে বেশিরভাগ সময়। তবে সাংবাদিকদের বসে থাকার সুযোগ নেই৷ তাদের রাখতে হয় জীবন আর জগতের নানান পরিসংখ্যান৷ ক্যাম্পাসের তরুণ সাংবাদিকরাও তার বাইরে নয়৷ বিকশিত জীবনের নেশা থেকেই তাদের দিগন্তপ্রসারী পথচলা৷

করোনার এই অবসরে কিভাবে সময় অতিবাহিত করছেন ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা, কীভাবে কাটছে তাদের সময়, এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন বাংলাদেশ জার্নালের ডিআইইউ প্রতিনিধি - ফাতেমাতুজ জোহরা

ইউনাইটেড নিউজ এর ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির প্রতিনিধি মো. শাহীন

‘যেহেতু পুরো বিশ্ব আজ মহামারী করোনা সংকটে লক ডাউনের কবলে অবরুদ্ধ, তাই সাধারণ মানুষের মতো আমাকেও বাসায় বসে সময় কাটাতে হচ্ছে। তবে বাসায় বসে ব্যবস্তার মধ্যেই সময় কাটছে। সাংবাদিকদের সময় যেহেতু ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটে, সেহেতু একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে আমার সময়টাও সাংবাদিকদের নিয়েই কাটছে৷ ক্যাম্পাসের সাংবাদিক ভাই ও বোনদের সাথে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা হচ্ছে’।

‘যদিও এ বছর রমজান বাবা-মা এর সাথে কাটাতে পেরে কিছুটা আনন্দিত তবুও ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখ গুলো খুবই মিস করছি। ক্যাম্পাস খোলা থাকলে অন্যভাবে সময় কাটতো। এখন বাসায় বসে সময় কাটাতে হচ্ছে।এই মহামারিকে দৃঢ় মানসিক শক্তি নিয়ে মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি,তিনি যেন এই মহামারীকে অতিদ্রুত পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নিয়ে আমাদের দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরার সুযোগ করে দেন। পৃথিবী যেন তার পূর্বের অবস্থায় ফিরতে পারে।’

সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর স্টাফ রিপোর্টার ও ডিআইইউ প্রতিনিধি জাফর আহমেদ শিমুল

‘করোনাকালীন অফুরন্ত অবসর সময়েও খুব ব্যাস্ত সময়সূচী মেনেই চলছে আমাদের। আমরা এখনো শিক্ষার্থী তাই অনলাইনে ক্লাস করে,এক্সাম দিয়ে খুবই সুন্দর কিছু সময় কাটছে। সাংবাদিক হবার কারণে প্রচুর লেখালিখির মধ্য দিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি। দেশের সাধারণ মানুষের এই করোনা সংকটের সাথে যে যুদ্ধ সেগুলো নিয়েই নিয়মিত সংবাদ তৈরী ও প্রকাশ করে চলেছি।’

‘বিভিন্ন রকম শিক্ষামুলক ও গবেষণামুলক বই পুস্তক পড়ে নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছি।আর করোনা সংকট যেহেতু এখনো বর্তমান,তাই কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা প্রেসক্লাব বাসী একটি ফান্ড ও গঠন করার চেষ্টা করছি।’

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একুশে টেলিভিশন প্রতিনিধি মুছা মল্লিক

‘করোনার এই অবসরের মরুভূমিতে সারাদিন সময় কাটছে পরিবারের সাথেই। বিভিন্ন বই পড়া, অনলাইন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ, এছাড়াও নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি সাংবাদিকদের সাথেই৷ সব মিলিয়ে অসাধারণ সময় কাটছে যদিও নানা সংশয় বাসা বাধছে মনে৷ দ্রুতই আমরা এই সংকটকে কাটিয়ে নতুন ভোরের দেখা পাবো৷ মানসিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী করেই এগিয়ে চলতে হবে সম্ভাবনাময় আগামীর পথে ‘

দৈনিক দিনের শুরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কাজী ফিরোজ আহাম্মদ পারভেজ

‘সাংবাদিকতা একটি সম্মানজনক ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। আর ক্যাম্পাস সাংবাদিকতাকে বলা হয়ে থাকে সাংবাদিকতার ‘আঁতুরঘর’। সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ে অথবা সাংবাদিকতা বিভাগে না পড়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকতার প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা থেকেই নিজেকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় নিযুক্ত করেন। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের বিকাশের যুগে তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা খণ্ডকালীন চাকরি হিসেবে আকর্ষণীয় পেশায় পরিণত হচ্ছে। ক্যাম্পাসে ঘটনাগুলো সময় মেপে ঘটে না। ক্যাম্পাস বন্ধ কিংবা খোলা, সবসময়ই সজাগ থাকতে হয় ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের। করোনা ভাইরাসের এই কঠিন সময়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও সাংবাদিকদের বন্ধ নেই।’

মুক্ত ক্যাম্পাস এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান

‘মহামারী চলাকালীন এই সময়ে অনিচ্ছা সত্বেও গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কলম থেমে নেই। সাংবাদিকতার এই একটা দিক আমার ভালো লাগে। লেখালেখি আর বিশিষ্ট লেখকদের বই পড়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যাচ্ছে। অনেক কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে যে অনেক দিন প্রিয় ক্যাম্পাসে যেতে পারছিনা প্রিয় মুখ গুলোর সাথে দেখা হচ্ছেনা। প্রেসক্লাব সাংবাদিক ভাই ও বোনদের সাথে দেখা করার জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে আছি। সর্বোপরি ভালো থাকুক সহপাঠী ভাই-বোন এবং বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বের সকল মানুষ। সংকট কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হোক পৃথিবী।’

পূর্বপশ্চিমের ডিআইইউ প্রতিনিধি মকবুল হোসাইন

‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের জনজীবন সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ও এর ব্যাতিক্রম নয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ ও বিশ্যবিদ্যালয় পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে। এরমধ্যেও থেমে নেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা। ঘরে থেকেও নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে ক্যাম্পাসের সব খবর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। শুধু তাই নয় দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে জানান দিচ্ছে তারাও প্রস্তুত সবধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে।’

‘এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে বন্ধ না থাকে তাই নেওয়া হয়েছে কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এই উদ্যোগগুলোর মধ্যে ডিজিটাল ক্লাসরুম বা অনলাইন ক্লাস। করোনার কারণে আজ শিক্ষকদের হাত হোয়াইট বোর্ডে না থেকে ল্যাপটপের কি-বোর্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই মহতি উদ্যোগের যাবতীয় খবরা - খবর সকল শিক্ষার্থীর নিকট দ্রুত পৌঁছে দিতে প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছে ক্যাম্পাস প্রতিনিধিরা।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত