ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

২০ বছরে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২০, ১৬:১২  
আপডেট :
 ৩১ মার্চ ২০২০, ১৬:২৯

২০ বছরে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমা দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নতুন ভাবনা, নতুন মাত্রার যোগ করেছিলেন নন্দিত কথা সাহিত্যিক,লেখক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ।

নিজের লেখা শ্রাবণ মেঘের দিন উপন্যাস অবলম্বনে নুহাশ চলচ্চিত্রের ব্যানারে নির্মিত এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০০ সালের ৩১ মার্চ অর্থাৎ আজকের এই দিনে। দেখতে দেখতে ছবিটি মুক্তির ২০ বছর পেরিয়ে গেলো।

এ নিয়ে আজ দুপুরে ছবিটির কুসুম চরিত্র রূপদানকারী মেহের আফরোজ শাওন একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, “আমার নাম কুসুম। বাপজান আপনারে আনসে আমার সাথে বিবাহ দেয়নের জন্য। আমারে কি আপনের পছন্দ হইসে?”

বিশ বছর আগের এই দিনে (শুক্রবার, মার্চ ৩১, ২০০০) বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’...

ছবিটির কাহিনি ছিল সে সময়ের গতানুগতিক ধারার বাণিজ্যিক ছবির চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। সেসময় সিনেমাটি টেলিভিশনে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল। এরপর মুক্তি পেয়েছিল দেশের বেশীরভাগ প্রেক্ষাগৃহে। ছবিটি বেশ দর্শক নন্দিত ও ব্যবসাসফল হয়েছিল।

এই ছবিতে ময়মনসিংহের লোককবি ও গায়ক উকিল মুন্সীর গান ব্যবহার করেন হুমায়ূন আহমেদ। ‘সোয়াচান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘পূবালী বাতাস’ গানগুলোদারুণ জনপ্রিয়তা পায়। মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল গানগুলো। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন বারী সিদ্দিকী। মূলত এই গানগুলোর মাধ্যমে বারী সিদ্দিকীও শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তার সোপানে পা রাখেন।

হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’ গানটিতে কণ্ঠ দেন সুবীর নন্দী। গানটি সেসময় ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। অসাধারণ দৃশ্যায়নে গানগুলো এখনও শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে আছে।

ছবিটির প্রতিটা অভিনয়শিল্পী অসাধারণ অভিনয় করেন। কুসুম চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেন মেহের আফরোজ শাওন। এই ছবির মাধ্যমেই অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন তিনি। মতি চরিত্রে জাহিদ হাসান এবং সুরুজ চরিত্রে মাহফুজ আহমেদের অভিনয়ও ছিল চমৎকার।

ছবিটি একদিকে যেমন দারুণ ব্যবসাসফল হয় তেমনি চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের দৃষ্টিতে শিল্পসম্মত হিসেবে বিবেচিত হয়। নুহাশ চলচ্চিত্রের ব্যানারে নির্মিত হয়েছিল সিনেমাটি। চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় হুমায়ূন আহমেদের সৃজনশীলতার ছাপ ছিল স্পষ্ট।

নৌকা বাইচ, গাতকদের গানের আসর, গায়ে হলুদের গান ইত্যাদির মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন নির্মাতা। উকিল মুন্সীর মতো একজন লোককবিকে জাতীয় পর্যাযে তুলে ধরার বিষয়টিও ছিল প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশে সুস্থ রুচির বিনোদনের ধারা প্রাণ ফিরে পায় এ সিনেমাটির মাধ্যমে। মধ্যবিত্ত দর্শককে হলে ফিরিয়ে আনে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’।

ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন আনোয়ারা, মুক্তি, প্রয়াত গোলাম মোস্তফা, প্রয়াত সালেহ আহমেদ ও ডাঃ এজাজ।

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত