শ্রমিক সঙ্কটে ভারতের শস্য ভাণ্ডার
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ১২:৫৬ আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ১২:৫৮
লকডাউন চলছে৷ চলবে আরো কিছুদিন৷ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আপাতত আর কোনো বিকল্প নেই ভারতের হাতে৷ এই সঙ্কটকালে ভূমিহীন শ্রমিক অথবা দিন-আনা দিন-খাওয়া ১৩৬ কোটি মানুষের খাদ্য জোগান সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷
লকডাউন চলাকালে দেশের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি দরিদ্রদের বিনামূল্যে চাল, গম, ডাল বিতরণ করছে৷ খোলা রয়েছে রেশেনের দোকান৷ আপাতত জোগানে ঘাটতি নেই৷
কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে, লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি কী হবে? কারণ, ভারতের ‘শস্য ভাণ্ডার’ হিসেবে পরিচিত উত্তর ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মাঠে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল৷
অথচ সমগ্র ভারতে সারা বছরের শস্য চাহিদার বেশিরভাগই মেটায় এই তিন রাজ্যের উৎপাদন৷ তারাই ভারতের কৃষিকাজের মেরুদণ্ড৷ একই অবস্থা দক্ষিণ ভারতেও৷ সেখানেও ঘরে ফিরে যাচ্ছেন শ্রমিকরা৷ সংবাদমাধ্যমের ভাষায় তারা ‘পরিযায়ী শ্রমিক’৷
এমনিতে লকডাউন চললেও কৃষিকাজে ছাড় দিয়েছে সরকার৷ তবে, তাতে সমস্যা মিটছে না৷ কৃষিকাজ করবে কে? শ্রমিক কই? পোঁটলা-পুঁটলি ঘাড়ে নিয়ে কয়েক শ কিলোমিটার পথ হেঁটে নিজেদের রাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তারা৷
তাদের কেউ কেউ সরকারি ‘শেল্টার হোমে’ কোয়ারান্টিনে রয়েছেন৷ ভারতে এখন লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কেউ কেউ নিশ্চিত৷
কিন্তু এই পরিযায়ী শ্রমিকরা আবার কাজে ফিরবেন কিনা, ফিরলেও কীভাবে, কবে? তা কারও জানা নেই৷
খেতে শ্রমিক সরবরাহকারী সংগঠন হরিয়ানার আর্থিয়া অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অশোক গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বিপুল চাহিদা থাকলেও বর্তমানে একজন শ্রমিকও নেই৷ গম কাটার পর শষ্য ঝাড়াই করে যে অবশিষ্ট অংশ থাকে সেগুলি পশুখাদ্য হিসেবে মজুত করা হয়৷ যান্ত্রিক উপায়ে ফসল তোলা হলে ভবিষ্যতে পশুখাদ্য আসবে কোথা থেকে জানা নেই৷’ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে