ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক শহরে স্ত্রী, আরেক শহরে শাশড়িকে হত্যার পর আত্মঘাতী জামাই

স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার পর জামাইয়ের আত্মহত্যা
স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে অমিত। এই ছবি এখন কেবলই স্মৃতি

স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন ৪২ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ী। তার নাম অমিত আগরওয়াল। এই মর্মান্তিক তিন হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ভারতের পৃথক দুই শহরে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল প্রথমে বেঙ্গালোর শহরে স্ত্রীকে খুন করেন। এরপর বিমানে করে কলকাতায় এসে শাশুড়িকে হত্যা করেন। এরপর নিজেও আত্মঘাতী হন। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

জানা যায়, অমিত সোমবার বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় আসেন। এরপর শহরে শ্বশুরের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। এরপর বাকতিণ্ডার এক পযায়ে শাশুড়িকে গুলি করে হত্যা করেন। এসময় তার শ্বশুর জামাই অমিতকে ভেতর থেকে তালা বন্ধ করে ফ্ল্যাটের বাইরে দৌড়ে পালিয়ে আসেন এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শাশুড়ি এবং জামাইয়ের মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। এসময় শাশুড়ির ঘর থেকে অমিতের একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তা থেকে পুলিশ জানতে পারেন, কলকাতায় আসার আগে বেঙ্গালোরে স্ত্রীকে (৪০) খুন করেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্গলোর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ। এরপর শহরের ওয়াইটফিল্ড থানার আওতায় একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে ব্যাঙ্গলোর পুলিশ। সেই সময় তার দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে।

ব্যাঙ্গলোর পুলিশে প্রাথমিক অনুমান, ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেন ওই ব্যবসায়ী।

অমিত আগরওয়াল পেশায় একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং বেশ কয়েক বছর আগেই শিল্পী ঢনডনিয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাদের একটি ১০ ​​বছরের সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছিলেন তারা।

সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ কলকাতার ফুলবাগান এলাকায় শ্বশুরবাড়ির ফ্ল্যাটে আসেন অমিত। দু' পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে বেশ দীর্ঘ সময় ধরে। উত্তেজিত অবস্থায় অমিত আগরওয়াল পকেট থেকে পিস্তল বের করে শাশুড়ি ললিতা ঢনডনিয়াকে গুলি করে হত্যা করেন।

এসময় তার ৭০ বছর বয়সী শ্বশুর সুভাষ ঢনডনিয়া এক দৌড়ে নিজের ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যান। বেরনোর সময় বাইরে থেকে ফ্ল্যাটের তালা বন্ধ করে দেন। এরপর সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদের কাছে ছুটে যান বৃদ্ধ সুভাষ ঢনডনিয়া।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছলে নিহত ললিতাকে মৃত অবস্থায় পান। রক্তে ভেসে যাওয়া ওই মেঝেতেই কিছু দূরে পড়েছিল অমিত আগরওয়ালের মৃতদেহ। মেঝেতে অল্প দূরেই পড়েছিল ঘাতক পিস্তলটি। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে যাতে অমিত আগরওয়াল লিখেছিলেন, তিনি ব্যাঙ্গলোরে তার স্ত্রী শিল্পীকেও হত্যা করেছেন।

তাৎক্ষণিকভাবে এই দুই খুনের কারণ জানা যায়নি। জানা যায়নি এই দম্পতির পারিবারিক অশান্তির কারণও। এই হত্যার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

তবে অমিত এবং শিল্পী আগরওয়ালের ছেলে কোথায় রয়েছেন তা জানায়নি পুলিশ। পুলিশ কেবল বলেছে, তাদের ছেলের নিরাপদেই রয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত