করোনায় ধারাবী বস্তির অনন্য নজির
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২০, ১৫:৫২
মাত্র আড়াই বর্গ কিলোমিটারের ধারাবী বস্তিতে ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষের বসবাস। কিন্তু করোনা কালে সফল হয়েছে মুম্বইয়ের ধারাবী বস্তির ‘কন্টেনমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’। আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
কঠোর ভাবে লকডাউন পালন, সংক্রমিত মহল্লাগুলিকে গণ্ডিতে বেঁধে দেওয়া, নিরন্তর নজরদারি এবং বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষা। জুন মাসের শুরুতেই সেখানে অধিক সংক্রমণের আশঙ্কা ছড়ালেও পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করেছিল জুন মাসে। কিন্তু এর পরেই সক্রিয় হয় মহারাষ্ট্র সরকার ও বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)। কঠোর ভাবে লকডাউন পালনের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি, করোনা চেন ভাঙতে ‘টেস্টিং, ট্র্যাকিং, আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটিং’ নীতি অনুসরণ করা হয়। বাড়ি বাড়ি মোবাইল ভ্যান পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে বিএমসি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস করোনা মোকাবিলায় ধারাবী মডেলের প্রশংসা করে বলেন, মুম্বইয়ের মতো মহানগরীর ঘনবসতি এলাকায় করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি একটি নজির। করোনা ঠেকানোর ক্ষেত্রে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাবীকে ‘দৃষ্টান্ত’ হিসেবে তুলে ধরেছেন হু প্রধান।
শনিবার জেনেভায় ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, স্পেন, ইটালি, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি ঘনবসতিপূর্ণ মুম্বইয়ের ধারাবী এলাকাও ধারাবাহিক লড়াইয়ের মাধ্যমে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। বিশ্বে একটি নজির স্থাপন করতে পেরেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সংক্রমণ কমার পাশাপাশি ধারাবীতে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জুন মাসের গোড়ায় সেখানে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪-এ পৌঁছে গিয়েছিল। জুনের শেষে তা নেমে এসেছে ১৮ জনে। জুলাইয়ে তা আরও কমেছে। ১০ জুলাই নতুন ১২ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে ধারাবীতে। অথচ দেশে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। ধারাবীতে এখন ১৬৬ জন অ্যাক্টিভসহ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩৫৯। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৯৫২ জন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম
