ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এবার অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:০০

এবার অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকাও জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার ডব্লিউএইচও এ অনুমোদন দিয়েছে। ডব্লিউএইচওর এই অনুমোদনের ফলে কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বৈশ্বিক বণ্টনের পথ প্রশস্ত হলো। আলজাজিরা।

এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ডব্লিউএইচও। গত ৩১ ডিসেম্বর এই অনুমোদন দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদন করছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই টিকা প্রকল্পের একাধিক অংশীদার রয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। পরে ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ এই টিকার অনুমোদন দেয় এবং ব্যবহারও এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরেশোরে করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ আরও কয়েকটি দেশের তৈরি টিকা দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

গতকাল এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, জরুরি ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুটি সংস্করণ তারা তালিকাভুক্ত করেছে। এই তালিকাভুক্তি কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বৈশ্বিকভাবে বিতরণের সবুজসংকেত দিচ্ছে। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের লক্ষ্য টিকার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করা।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে দুটি সংস্করণ ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিয়েছে, তার একটি উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। অন্যটি উৎপাদন করছে দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকেবায়ো।

ডব্লিউএইচও জরুরি ব্যবহারের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে টিকার গুণগত মান, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই করে। আর টিকা তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় আসাটা একটা পূর্বশর্ত।

ডব্লিউএইচওর তালিকাভুক্তির এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুটি সংস্করণকে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিতে পারবে। পাশাপাশি এই টিকা আমদানিরও অনুমোদন দিতে পারবে।

ডব্লিউএইচওর সহকারী মহাপরিচালক মারিয়াঙ্গেলা সিমাও বলেছেন, এখন পর্যন্ত যেসব দেশ টিকা পায়নি, তারা অবশেষে তাদের স্বাস্থ্যকর্মী ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে টিকাদান শুরু করতে পারবে। এই অনুমোদন কোভাক্স উদ্যোগে অবদান রাখবে।

ডব্লিউএইচওর টিকাদানবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা ৮ ফেব্রুয়ারি এই টিকা পর্যালোচনা করেন। তারা ১৮ বছরের বেশি বয়সী জনসাধারণের ওপর টিকা প্রয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত