ঢাকা, রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সিরিয়ার বন্দীশিবির থেকে মা ও শিশুদের ফিরিয়ে নিল বেলজিয়াম

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ০৯:১৪  
আপডেট :
 ১৮ জুলাই ২০২১, ০৯:২২

সিরিয়ার বন্দীশিবির থেকে মা ও  শিশুদের ফিরিয়ে নিল বেলজিয়াম
ছবি : বিবিসি

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পতনের পর সিরিয়ায় বন্দীশিবিরে যেসব জিহাদিদের আটক করে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে ছয় জন নারী এবং তাদের ১০টি শিশুকে বিমানে করে বেলজিয়ামে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে আইএসের পতনের পর এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় তাদের সন্দেহভাজন সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হলো। খবর বিবিসির।

খবরে জানা গেছে, তিনজন মা ও তাদের সাত ছেলেমেয়ে বেলজিয়ামে ফিরে যাবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। আই এসে যোগ দেবার জন্য ইউরোপ থেকে সিরিয়ায় যাওয়া শত শত লোক এখন উত্তর সিরিয়ায় বন্দীশিবিরে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও আছে। এ বন্দীশিবিরগুলো পরিচালনা করছে কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী। বহু ইউরোপীয় দেশই এ শিবিরের বাসিন্দাদের দেশে ফিরতে দেয়নি। তবে বেলজিয়াম বলেছে, তারা অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ফিরিয়ে আনতে চায়।

মনে করা হচ্ছে, উত্তর সিরিয়ার রোজ এলাকায় অবস্থিত শিবিরটি থেকে বেলজিয়ামে ফিরে যাবার পর এ নারীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনে অভিযোগ আনা হবে। আর তাদের শিশুদের নেয়া হবে পরিচর্যা কেন্দ্রে। গত মার্চে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সাণ্ডার ডি ক্রু বলেছিলেন, এসব ক্যাম্পে ১২ বছরের কমবয়সী যারা আছে, তাদের তারা ফিরিয়ে আনতে চান।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর চারশ’র বেশি বেলজিয়ান আইএসে যোগ দিতে সেখানে যায়। ইউরোপের কোন দেশ থেকে আইএসে যোগ দিতে যাওয়া লোকের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। ইসলামিক স্টেট এক সময় ইরাক ও সিরিয়ার মোট ৩৪ হাজার বর্গমাইল জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতো। তবে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে তারা পরাজিত হবার পর বাস্ত্যুচ্যুত হাজার হাজার লোকের সাথে নারী ও শিশুদেরও বিভিন্ন শিবিরে পাঠানো হয়।

ডাচ আইএস যোদ্ধা ইয়াগো রিয়েডিক ও তার স্ত্রী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম। দু'জনেই এখনো সিরিয়ায় বন্দীশিবিরে আটক

কিছু ইউরোপীয় দেশ তাদের আইএসে যোগদানকারী নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে অনিচ্ছুক। এর অন্যতম দৃষ্টান্ত ২০১৫ সালে লন্ডন থেকে পালিয়ে আইএসে যোগদানকারী ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগম, যুক্তরাজ্যের সরকার যার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি এদের ফিরিয়ে নিতে আবেদন জানিয়ে বলেছে, ক্যাম্পে থাকলে তাদের রোগাক্রান্ত বা উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হবার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল / টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত