ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ম্যার্কেলের বিদায়ে কে হাল ধরছেন জার্মানির?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২০  
আপডেট :
 ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২৮

ম্যার্কেলের বিদায়ে কে হাল ধরছেন জার্মানির?
জার্মান চেন্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: সংগৃহীত

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের তিন দিন আগে এই প্রথম সব প্রধান দলের নেতারা দেশটির টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হন। জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগে উপস্থিত দলের নেতারা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন প্রশ্নে নিজস্ব অবস্থান এবং নির্বাচনের পর পছন্দের জোট নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

তিন প্রধান দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর এটাই ছিল টেলিভিশনের পর্দায় ভোটারদের মন জয় করার শেষ সুযোগ। ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে এর আগে কখনো নির্বাচনের আগে প্রধান দলগুলোর প্রতিনিধিরা টেলিভিশনে নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরার এত সুযোগ পাননি।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের প্রচার-প্রচারণা সত্ত্বেও জার্মানিতে এবারের নির্বাচনের ফল সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না। জনমত সমীক্ষায় সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি ও রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবিরের মধ্যে ফারাক অতি সামান্য।

অতীতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এমন সমীক্ষার ইঙ্গিত বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া এবার সমীক্ষার প্রশ্নের জবাবে অনেকেই জানিয়েছেন যে, তারা এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেননি। রেকর্ড সংখ্যক পোস্টাল ব্যালটও সব হিসাব গোলমাল করে দিতে পারে।

বৃহস্পতিবারের টেলিভিশন বিতর্কে উপস্থিত শীর্ষ নেতারা নিজেদের অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে অবশিষ্ট ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেন।

জার্মান পার্লামেন্টে কে হচ্ছেন ম্যার্কেলের স্থলাভিষিক্ত, সেদিকে সবার দৃষ্টি।

তাছাড়া রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্দিষ্ট জোট গড়লে তার পরিণাম কী হবে, সে বিষয়েও সতর্ক করলেন। এ প্রথম কোনো বিতর্কে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব পেলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত দেশ জার্মানির ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়েও শীর্ষ নেতারা নিজেদের অবস্থান জানালেন।

এমন প্রেক্ষাপটে রোববারের নির্বাচনের ফলাফল ও তারপর সম্ভাব্য জোট সরকার গড়ার উদ্যোগ নিয়ে জল্পনাকল্পনা বাড়ছে। এসপিডি প্রার্থী ওলাফ শলৎস ও ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী আরমিন লাশেটের হাতে সংসদের আসন সংখ্যার মধ্যে ফারাক যদি সত্যি খুব কম হয়, সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষই সমান্তরালভাবে সরকার গড়ার লক্ষ্যে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা চালাতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

১৯৭৬ সালে এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় শক্তিশালী শিবির হিসেবে এসপিডি দলের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হলে দুইয়ের বদলে তিনটি দলের জোট অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। ১৯৪৯ সালে ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র গঠনের পর তিন বছর এমন সরকার ক্ষমতায় ছিল। তারপর থেকে কখনো এমন তিন দলের সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়নি।

উদারপন্থি এফডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার বৃহস্পতিবার আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী দুই প্রধান শিবিরই এবার ভোটারদের ৭০ শতাংশের কম সমর্থন পাচ্ছে। এমন দুর্বল অবস্থানে থেকে তাদের পক্ষে সরকার গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ এক সমীক্ষা অনুযায়ী এসপিডি দল ২৫ ও ইউনিয়ন শিবির ২৩ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বিদায়ের পর কে জার্মানির হাল ধরবেন, নির্বাচনের দুই-তিন দিন আগেও তা স্পষ্ট নয়। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

বাংলাদেশ জার্নাল / টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত