ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ভারতে নতুন পার্লামেন্টের উদ্বোধন বয়কটের ঘোষণা বিরোধীদের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ১৭:৫১  
আপডেট :
 ২৪ মে ২০২৩, ১৭:৫৯

ভারতে নতুন পার্লামেন্টের উদ্বোধন বয়কটের ঘোষণা বিরোধীদের
ছবি- সংগৃহীত

নবনির্মিত পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধন নিয়ে উত্তপ্ত ভারতের রাজনীতি। এরই মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে বিরোধীরা। বুধবার ১৯টি দলের তরফ থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রায় বিশ হাজার কোটি রুপি খরচে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট’ নামে এগিয়ে চলেছে ভারতের নতুন পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে পার্লামেন্টের মূল ভবন। অপেক্ষা কেবল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের।

তবে এরই মধ্যে নতুন পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন। রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐতিহাসিক এ স্থাপনার উদ্বোধন করবেন তা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।

কেবল উদ্বোধন কে করবেন তা নিয়ে নয়, বিতর্ক শুরু হয়েছে উদ্বোধনের তারিখ নিয়েও। উদ্বোধনের তারিখ হিসেবে ২৮ মে বেছে নেয়াকে নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, দিনটি বিজেপির অন্যতম আদর্শিক নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্মদিন।

বিরোধীরা বলছে, প্রথম আদিবাসী নারী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মু দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ায় একীকরণের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। অথচ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সরকারের এই আচরণ রাষ্ট্রপতির পক্ষে চরম অসম্মানজনকই শুধু নয়, সংবিধান অবমাননারও শামিল।

বর্জনের ঘোষণা দেয়া এই ১৯ দলের মধ্যে রয়েছে- কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, এমডিএমকে, ভিসিকে, শিবসেনা (উদ্ধব), সমাজবাদী পার্টি, সিপিআই, সিপিএম, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, রাষ্ট্রীয় লোকদল, জনতা দল (ইউ), এনসিপি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরালা কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও আরএসপি।

আরও পড়ুন...নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন ঘিরে ভারতে বিতর্ক

বিরোধীরা যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম নতুন কিছু নয়। বিরোধী নেতাদের সদস্যপদ খারিজ করে দেয়া হয়েছে। যখনই তারা জনগণের স্বার্থে কিছু বলতে উঠেছেন, তখনই তাদের মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকার পক্ষ অধিবেশন ভণ্ডুল করে দিয়েছে। বিনা আলোচনায় কৃষি আইনের মতো বহু বিতর্কিত আইন পাস করিয়ে নেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংসদীয় কমিটিগুলোকে অকার্যকর করে দেয়া হয়েছে। কোভিড মহামারির সময় জনগণের টাকায় কোনোরকম আলোচনা না করে এই নতুন সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এভাবে গণতন্ত্রের পীঠস্থান থেকে গণতন্ত্রের অন্তরাত্মাকেই খাঁচাছাড়া করা হয়েছে। আমাদের কাছে এই নতুন ভবন অর্থহীন।

বিরোধী নেতারা বলেছেন, স্বৈরতন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই জারি থাকবে। সে লড়াই তারা সরাসরি জনগণের মধ্যে নিয়ে যাবেন।

হিন্দুত্ববাদের প্রবক্তা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মদিনেই প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করছেন ২৮ মে। বিরোধীদের এতেও প্রবল আপত্তি।

রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থিত নতুন সংসদ ভবনটি ত্রিভুজাকার নকশার আকর্ষণীয় চার তলা ভবন। উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে সংসদে ১ হাজার ২৮০ জন সদস্য বসতে পারবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/সামি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত