দেওবন্দ মাদ্রাসায় তাবলিগ নিষিদ্ধ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২২:২৭
ভারতের ঐতিহ্যবাহী দিনি প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দেওবন্দ কোনো পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখবে না বলে ফের জানিয়ে দিয়েছে।
শনিবার দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
দেওবন্দে জারি হওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বীনের প্রচার, ইসলামের দাওয়াত আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু তাবলিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে সৃষ্ট ফেতনা থেকে দারুল উলুমকে রক্ষার জন্য দারুল উলুমের দায়িত্বশীলরা প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দারুল উলুমের প্রতিটি ছাত্র উভয় দল (সাদ- শুরা) থেকে সম্পর্কহীন থাকবে। এজন্য ছাত্ররা দারুল উলুমের অভ্যন্তরে বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ কোনো তাবলিগি কার্যক্রমে অংশ নেবে না।
দারুল উলুমের ভেতরে মাদ্রাসা ছাত্র বা বহিরাগত কারো তাবলিগি কাজ করা যাবে না ঘোষণা দিয়ে এ নির্দেশ অমান্য করলে ছাত্রদের কঠোর শাস্তির হুশিয়ারিও দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, তাবলিগের চলমান সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের আগস্টে দারুল উলুম দেওবন্দ ঘোষণা করে, বিবাদ না মেটা পর্যন্ত দারুল উলুমের ভেতর তাবলিগের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তাবলিগ বিষয়ে দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে। তাবলিগের বিবদমান কোনো পক্ষকেই তারা সমর্থন দেননি।
পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমদের বক্তব্য
এদিকে তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট নিরসনে তাবলিগের মুরব্বীদের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমরা। পাকিস্তানের খ্যাতিমান ২৬ জন আলেম ভারতের তাবলিগের প্রধান মারকাজ নিজামুদ্দিন, পাকিস্তানের রায়েবেন্ড, বাংলাদেশের কাকরাইলের মুরব্বিদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সম্প্রতি যে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে, এতে আমাদের তাবলিগ নিয়ে শঙ্কা আরো বেড়ে গেছে। কখনো কল্পনাও করতে পারিনি, দিনদারগণ এভাবে দু’দলে বিভক্ত হয়ে রক্তারক্তি কান্ড ঘটাবে।
তাবলিগের উভয় দলের মুরব্বিগণ সব মত আর দাবিগুলোকে এক পাশে রেখে আমরা একটি জায়গায় বসি। এক ও নেক হতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই এর সমাধান সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
যদি দু পক্ষের একতাবদ্ধ হওয়া সম্ভব না হয় ,তাহলে আলাদাভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের আলেমগণ।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে