ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘এই জয় সংবিধানের, এই জয় গণতন্ত্রের

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:১৪  
আপডেট :
 ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:২৬

‘এই জয় সংবিধানের, এই জয় গণতন্ত্রের

কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আদালতের এই রায়কে ‘গনতন্ত্রের জয়’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তবে সিবিআই কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

রাজীব কুমারকে শিলংয়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সিবিআই-এর দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলায় আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার, রাজ্যের মুখ্য সচিব মলয় দে এবং রাজ্যের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এই জবাব পাওয়ার পরই শীর্ষ আদালত ঠিক করবে, তাদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হবে কি না। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শোনার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যাগ্রহ মঞ্চ থেকে বললেন, ‘এটা আমাদের নৈতিক জয়। এটা মানুষের জয়। আইনের জয়।’

রাজীব কুমার–সিবিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলের সত্যাগ্রহমঞ্চ মমতা বলেন, ‘আমরা কখনওই বলিনি অসহযোগিতা করব। আমরা তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগিতার পক্ষে। রাজীব কুমার সব সময় বলেছিলেন, তিনি কোনো নিরপেক্ষ স্থানে বসে কথা বলতে চান। তোমাদের যদি কোনও জিজ্ঞাস্য থাকে সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করো। তা না করে ওরা কোনও নোটিস ছাড়া গোপনে রাজীব কুমারের বাড়িতে চলে গেলো। অথচ সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে বলে দিয়েছে এখনই গ্রেপ্তার নয়। কোনও আদালত অবমাননা হয়নি। আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

মমতা আরো বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা কোনও সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে নই। কিন্ত এটা যা হয়েছে তা কেন্দ্রের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমি শুধু রাজীব কুমারের জন্য ধর্না দিচ্ছি না। দেশের সব অফিসারের জন্য দিচ্ছি।’

মমতা আরও বলেন, ‘এই জয় সংবিধানের, এই জয় গণতন্ত্রের। এই জয় জোটের। এই জয় সারা দেশের, জনতার। সংবিধান বাঁচাও আন্দোলনের।’

তবে এই রায়ের পর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সমাপ্তি হবে কিনা তা জানা যায়নি।

এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেছেন, তার দলের নেতা এবং দেশের অন্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রাজীব কুমার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত