ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

তদন্ত শুরু, অভিশংসনের মুখে ট্রাম্প

তদন্ত শুরু, অভিশংসনের মুখে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পুনরায় জিততে আবারও বিদেশি শক্তির সাহায্য চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অভিযোগ উঠার পর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলসি। তদন্তে দোষী সাব্যস্থ হলে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের মুখে পড়বেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনে জালিয়াতি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারাতে রাশিয়ার সাহায্য নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো। এ ঘটনায়ে আগেও একবার অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তখন তিনি ইমপিচমেন্ট থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।

এবার অভিযোগ, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকে ফাঁসাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলানস্কির সাহায্য চেয়েছিলেন ট্রাম্প। ইউক্রনের একটি গ্যাস কোম্পানিতে উচ্চ বেতনে কাজ করতেন হান্টার বাইডেন।

২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে বাইডেন সবার আগে রয়েছেন এবং তিনিই হতে পারেন ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

ফলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন সরকার তদন্ত শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্নীতির অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারেন বাইডেন ও তার ছেলে। এতে লাভবান হবেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৬ সালে নির্বাচনের সময় ব্যক্তিগত কাজে সরকারি ইমেইল ব্যবহারের অভিযোগ উঠার পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি। আর নির্বাচনে জিতে যান ট্রাম্প।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পেলসি বলেন, ‘আজ, আমি হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে দাঁড়িয়ে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন তদন্তের ঘোষণা দিচ্ছি। প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।’

তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত যা করেছেন তাতে গুরুতরভাবে সংবিধান লংঘন করা হয়েছে।

প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটিক নেতাদের সঙ্গে ক্যাপিটল হিলে শলাপরামর্শের জন্য মিলিত হবার পরই পেলসি এই ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে ডেমক্রেটিক দলের একাধিক সংসদ সদস্য, যারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করার পক্ষে তাদের সংখ্যা মঙ্গলবার থেকে ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

এ সম্পর্কে পোলসি বলেন, ‘এই সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানোর কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। কেননা এই পদক্ষেপ থেকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন। তিনি আমাদের জাতীয় সুরক্ষা এবং আমাদের নির্বাচনের বিশুদ্ধতার সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’

তবে ডেমোক্রেটিক দলের আনা এই অভিযোগকে ‘আবর্জনা’বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। বুধবার তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে তার জুলাই মাসের ফোনালাপের সম্পূর্ণ ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

সূত্র: সিএনএন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত