ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

হাটে পকেটমার থেকে সাবধান

  রিয়াজুল হক

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০১:০৫

হাটে পকেটমার থেকে সাবধান
রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সারা দেশে পশুর হাটগুলোতে পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। উদ্দেশ্য কুরবানীর জন্য পশু ক্রয় বিক্রয়, যা ঈদের সকাল পর্যন্ত চলবে।

যারা পশু কিনতে হাটে যাচ্ছেন, সবাই নগদ টাকা নিয়েই যাচ্ছেন এবং এই টাকার পরিমাণ কিন্তু একেবারেই কম নয়। আবার যারা বিক্রি করছেন, তারা বিক্রির টাকা নিজেদের কাছেই রেখে থাকেন। ধরুন, একজন বিক্রেতা ৫টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন এবং প্রতিটা গরুর মূল্য ১,০০,০০০ টাকা। তিনি যদি ৩টি গরু বিক্রি করে থাকেন, তাহলে তার কাছে ৩ লক্ষ টাকা থাকবে। এটা কিন্তু একজন পশু বিক্রেতার জন্য অনেক বড় অংকের টাকা। এখন যদি তিনি মনে করেন, ৫টি গরু বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে তিনি বাড়ি যাবেন, তাহলে কিন্তু সবগুলো গরু বিক্রি করা পর্যন্ত তাকে কয়েক লক্ষ টাকা নিজের কাছে রাখতে হবে এবং এর মধ্যে তিনি পকেটমার, ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়তেও পারেন। যেহেতু হাটে অনেক ভীড় থাকে, সেজন্য টাকা পয়সা খুব সাবধানতার সাথে রাখতে হবে।

যারা পশু কিনতে হাটে যাচ্ছেন, নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে সাথে রাখতে পারেন। আবার যারা পশু বিক্রেতা আছেন, তাদের উচিত পশু বিক্রির পর প্রাপ্ত টাকা দ্রুত ব্যাংকে জমা দিয়ে দেয়া অথবা নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। বড় অংকের টাকা নিয়ে হাটে না থাকাই ভালো। ভীড়ের মধ্যে পকেটমার থেকে সাবধান থাকা উচিত। কারণ, অনেক পশু বিক্রেতা পকেটমারের খপ্পরে পড়ে পশু বিক্রির এক টাকাও বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন না। আবার যারা কুরবানীর উদ্দেশ্যে পশু কিনতে হাটে যান, তারাও অনেক সময় পকেটমারদের জন্য পকেটের সবকিছু খুইয়ে পশু না কিনেই বাড়িতে ফিরে আসেন। এসব সত্যি দুঃখজনক।

হাটে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। সবাই কোরবানীর উদ্দেশ্যে হাটে যায় না। আর চোরকে ধর্মের কাহিনি শুনিয়েও কোন লাভ নাই। সেজন্য হাটে পশুর ক্রেতা বিক্রেতাদের সাবধানতাই সবার আগে প্রয়োজন। কারণ, সাবধানতার মার নাই।

লেখকঃ রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত