ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশ নিয়ে যত জ্বালা

  রাজীব কুমার দাশ

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:১৭  
আপডেট :
 ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৫১

পুলিশ নিয়ে যত জ্বালা
রাজীব কুমার দাশ। ফাইল ছবি

পুলিশ নিয়ে এদেশে যত জ্বালা। দুধারি দুমুখো পাবলিকের মনে জ্বালা, বুকে জ্বালা। সুশীলদের টক শো জ্বালা। কুশীল সাংবাদিক রাজনীতি অর্থনীতি মনোবিদ মানবাধিকার কমিশন সেরে দুদক কোর্ট হয়ে যে যার মতো অসহায় পুলিশ নিয়ে মুখে যা আসে বলছে লিখছে। যে যার মতো পারছে সেইই পুলিশকে দায়িত্ব ও কর্তব্যের করাতকলে ইঞ্চি গজ ফুট হিসেবে সাইজ করছে। মানে- পুলিশ এ দেশে ভিনগ্রহের এলিয়েন কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে আসা মাংসল নিতম্বের নীল গাই। কখনো কাঠগড়ায় করজোরে, সন্ত্রাসীদের পিস্তল ট্রিগারে চাপাতি কোপে, রাজনীতির টেবিলে পুলিশ নিয়ে যে যার মতো ঘরে-বাইরে চারিদিকে নির্দয় নির্মমতায় খেলছে। এমনকী পা-হারা ভিখারি, পতিতা, দালাল, অক্ষম আক্রোশ নিয়ে এটা সেটা বলছে। এদেশের অনেক সুশীল আছেন- তাদের কলমে প্রকৃত সত্য বেরোয় না। পুলিশের নুন খেয়ে পুলিশকে প্রকাশ্যে অপমান করছে, সুযোগ পেলে কুকুর বেড়ালের মতো পিটিয়ে মারছে। সর্বোচ্চ সংযমের সকরুণ বটিকা গিলে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার সাধারণ ভাতিজা-জনতার থাকলেও পুলিশের নাই। সাধারণ-অসাধারণ জনতা, মানবাধিকার কমিশন মনেও নেই কারোর কোনোই প্রতিবাদ।

কিন্তু কেন হচ্ছে এমনটা? কেনো হচ্ছে বার বার এমন নির্মমতা? নির্মম বৃটিশ পুলিশ পাকিস্তান পুলিশ পেরিয়ে জাতির পিতার স্নেহধন্য- বাংলাদেশ পুলিশ।

সপরিবারে পিতাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর রাতারাতি এদেশের বদলে যেতে থাকে সাহিত্য-সংস্কৃতি-ইতিহাস।

বদলে যেতে থাকে- ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাষা। ধূলিসাৎ হতে থাকে স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও চেতনা। স্বাধীন সার্বভৌম দেশের রণে বনে জলে জঙ্গলের মনে-মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়- মহান মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও জাতির জনকের বিরুদ্ধে বিষোদগার, দ্বিজাতিতত্ত্ব ও সাম্প্রদায়িকতার হলাহল বিষ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়- সে হলাহল বিষ স্বাধীনতার পঞ্চাশ হয়ে শতাব্দী ডিঙিয়ে গেলেও তুফান রিফুইজি লতার মতো প্রজন্মান্তর শেষ হবে না।

পুলিশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান। পুলিশ কী খাবে দাবে? কীভাবে কী করলে ভালো থাকবে? তা রাষ্ট্রকেই ভাবতে হবে। রাষ্ট্রই ভালো জানেন- পুলিশ কখন কোথায় কী পরিস্হিতিতে ভালো থাকবেন। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে- পুলিশের অপেশাদারিত্ব আচরণ নিয়েও। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে পুলিশেরও কঠিন কোমল রূপ বদলায়। যাঁরা পুলিশের প্রকৃত চেঞ্জ মেকার পলিসি মেকার তাঁদের হতে হবে- নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে আপসহীন। পুলিশের নিজস্বী নিয়ে বাগাড়ম্বর করবার তেমন সুযোগ নেই। পুলিশের সীমিত ক্ষমতা। সোজাসাপ্টা মনে বলতে হয়, যারপরনাই আদালতের চাকর সর্বোপরি- প্রজাতন্ত্রের চাকর।

অনুর্বর নৈতিকতা বর্ণচোরা স্বাধীনতার চেতনা কুম্ভিল ব্যক্তিত্ব নিয়ে 'বাংলাদেশ পুলিশ' ভালো রাখবার দায়িত্বে যাঁরা দিকে দিকে বসে বাগাড়ম্বর করে মহান স্বাধীনতা স্বপক্ষের সরকারকে বিব্রত করে চলেছেন; লক্ষ জীবিত সহযোদ্ধা ও মৃত আমিরুল ইসলাম পারভেজের পরিবার সন্তানদের ভালো রাখতে তাঁদের নতুন করে চিহ্নিত করবার সময় চলে এসেছে।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও কবি, পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত