ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বইমেলায় এসেছে আবুল কাসেমের ‘এ সমাজ ভাঙতে হবে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১১  
আপডেট :
 ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২১

বইমেলায় এসেছে আবুল কাসেমের ‘এ সমাজ ভাঙতে হবে’
ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এ প্রকাশিত হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি ও শিক্ষক আবুল কাসেমের নাট্যগ্রন্থ ‘এ সমাজ ভাঙতে হবে’। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মেলায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত প্রথম বই। বইটি প্রকাশ করছে প্রকাশনা সংস্থা ‘পুথিনিলয়’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী চারু পিন্টু।

লেখক ‘এ সমাজ ভাঙতে হবে’ বইয়ের নাটকগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সমাজের নানা অসঙ্গতি ও বাস্তবতাকে নতুন রূপে চিত্রায়িত করার প্রয়াস করেছেন। বইটির ভূমিকা লিখেছেন নাট্যনির্দেশক, অভিনেতা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলার পুথিনিলয়’-এর প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নম্বর ৩৪)।

নাটক সমাজের দর্পণ, সমাজ বদলের হাতিয়ার। এই বইয়ের নাটকগুলোও সেই দর্শনই বহন করে। বস্তুত, আপামর শিল্পপ্রাণ লেখক আবুল কাসেমের এ নাট্যগ্রন্থের নাটকগুলোতে শৈল্পিক নিরিখে ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের চরম বাস্তবতার নানাদিক-নানাপ্রসঙ্গ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম তাঁর এ গ্রন্থটির মধ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার, নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্ন ও স্বাধীনতার চেতনা অবগাহনে আলো ফেলেছেন। চারটি নাটকে সজ্জিত এ নাট্যগ্রন্থটি তাঁর প্রথম বই।

নাটকগুলো হলো— পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির পুনরুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘মীর জাফরের পদধ্বনি’; স্বাধীনতার বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের নিগৃহীত-নিষ্পেষিত হওয়ার বিয়োগাত্মক অ্যাখান ‘বুকের রক্তে লালিত স্বাধীনতা’; যৌতুকের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত সমাজের চিত্র ‘যৌতুক’ এবং গ্রামীণ সমাজ-সংস্কৃতির ভালো-মন্দ নিয়ে রচিত নাটক ‘কালো মানিক’।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাসেম একাধারে নাট্যকার, আধ্যাত্মবাদী কবি, গল্পকার ও রাজনীতিবিদ। এর পাশাপাশি তিনি একজন নাট্য ও যাত্রাপালা নির্দেশক, পরিকল্পক ও প্রযোজক। ত্যাগী ও কষ্টসহিষ্ণু মানুষটি বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলে বাস করেও শিল্প-সাহিত্য ও দেশের জন্য নীরবেই অবদান রেখে চলেছেন।

১৯৫১ সালের ১৪ জানুয়ারি অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার তেহট্ট মহকুমার জিৎপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন নাট্যকার আবুল কাসেম । স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর ও মেহেরপুর শহরের অদূরের রাধাকান্তপুর গ্রামে শৈশব থেকে তিনি বসবাস করছেন। এ গ্রামের স্কুলেই তার লেখাপড়া শুরু। ছাত্র জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকার টানে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি মেহেরপুরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে অধ্যয়ন শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালল থেকে দর্শনের ওপর একাডেমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।

এরপর পেশা হিসেবে শিক্ষকতা বেছে নেন। আবহমান গ্রামবাংলার সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন উদার ও সাদামনের মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে এলাকায় সর্বাধিক পরিচিতি পান।

এই সময়ে নিজ গ্রাম ও অঞ্চলের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নাটক নির্মান এবং দেশীয় ঐতিহ্যের অন্যান্য উপাদান ‘যাত্রা’ শিল্পের নির্দেশক হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। সমাজ সংস্কারেও তার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত