ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইতালিতে কাজ না পেয়ে ফের বাংলাদেশির যুবকের আত্মহত্যা

  প্রবাস ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪০  
আপডেট :
 ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৪

ইতালিতে কাজ না পেয়ে ফের বাংলাদেশির যুবকের আত্মহত্যা
ইতালিতে কাজ না পেয়ে ফের বাংলাদেশির যুবকের আত্মহত্যা। ছবি: সংগৃহীত

পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে কাজের সন্ধানে ইতালি এসেছিলেন মোহাম্মদ আবু বক্কর (৩২) নামে এক যুবক। কিন্তু অবৈধপথে ইতালি আসায় বেকার ছিলেন প্রায় এক বছর। এর পর হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশটির রাজধানী রোমের অস্ট্রিয়া এলাকার একটি পার্কে বক্করের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় স্থানীয় বাংলাদেশিরা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে বাংলাদেশে থাকা নিহতের স্বজনদের জানায়।

নিহত প্রবাসী মোহাম্মদ আবু বক্কর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাডাঙ্গা ইউনিয়নের সদাবরি গ্রামে ঈদগাহ পাড়ার সওদাগর মন্ডলের ছেলে। প্রাথমিকভাবে এটিকে ‘হতাশাজনিত আত্মহত্যা’ বলে ধারণা করা হলেও রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে স্থানীয় প্রশাসন।

জানা যায়, নিহত আবু বক্কর প্রায় ৭ বছর ইউরোপের দেশ গ্রিসে অবৈধ অবস্থায় ছিলেন। সেখান থেকে গত বছর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা হয়ে অবৈধপথে ইতালিতে পাড়ি জমান। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বৈধ কাগজ না থাকা এবং কাজ না পাওয়ার হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। এমন অবস্থায় পারিবারিক টানাপোড়নের কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তিনি। বর্তমানে আবু বক্করের মরদেহ স্থানীয় পলিটেকনিক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ইতালির রোমে একটি গির্জার পেছন থেকে সুমন মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হয়।

সুমন মিয়ার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার নীলখী পরবোর হোমনা চম্পক নগরে। তার বাবার নাম বারিক।

এ ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদ মহিবুর নামে এক ইতালি প্রবাসী ফেসবুকে লিখেছেন, সুমন মিয়া সাত মাস আগে ইতালির রোম শহরে এসেছেন। মাত্র ২৫ বছরের ওই যুবক ইতালিতে সোনার হরিণ ধরতে এসেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সাত মাস বেকার থেকে কোনো কাজ না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছেন। এমন নির্মম মৃত্যু কারোই কাম্য নয়।

তিনি আরও লিখেছেন, ইতালিতে নতুন করে যারা আসবেন, তারা অবশ্যই বৈধপন্থায় স্পন্সর ভিসায় আসবেন। কৃষি ভিসায় এসে এখানে তেমন কোনো কাজ নেই। তাই আপনজন না থাকলে না আসাটাই ভালো।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত