ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিবন্ধনধারীদের প্রতি সুবিচার হোক

  সাধন সরকার

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩২  
আপডেট :
 ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৪

নিবন্ধনধারীদের প্রতি সুবিচার হোক

গত ৩ ডিসেম্বর ১-১৪ নিবন্ধনের জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অতি দ্রুত ১-১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীদের জাতীয় মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রশ্ন হলো, কেন ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধনধারীদের ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে যুক্ত করা হলো? ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। ২০১৫ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ম্যানেজিং কমিটির পরিবর্তে ‘এনটিআরসিএ’ কর্তৃপক্ষের হাতে আসার পর প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার পরীক্ষার মাধ্যমে ১৩তমদের উত্তীর্ণ হতে হয়েছিল।

তখন কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের এককভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। তা ছাড়া ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনে উপজেলাভিত্তিক স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষক পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে নিবন্ধনধারীদের পাস করানো হয়েছিল। ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের একইভাবে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাদেরও উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে পাস করানো হয়েছিল। সহজ কথায়, ১৩ ও ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন আগের সব নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে আলাদা। আলাদা যদি নাই হবে তাহলে কেন ১৩ ও ১৪তমদের দুই-তিন মাস সময় নষ্ট ও অর্থের অপচয় করে ভাইভা নেয়া হলো (কেননা ভাইভা নম্বর যোগ হয় না, অথচ ভাইভায় ফেল করানো হয়) কেন? ১৩ ও ১৪তমদের লিখিত পরীক্ষায় উপজেলাভিত্তিক পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে পাস করানো হয়েছিল কেন? বলা হয়েছিল, ১৩ ও ১৪তমদের উপজেলাভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে এমন আচরণ (সরাসরি নিয়োগ না দেয়া) কোনোভাবেই কাম্য নয়। যথাসময়ে নিয়োগ না হওয়ায় লাখ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকরা হতাশায় দিন পার করছেন।

‘এনটিআরসিএ’ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সময়ে সমন্বয়হীন সিদ্ধান্তে শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের এককভাবে নিয়োগ দিতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে। তা যদি হয় তাহলে ১৪তমদেরও এককভাবে নিয়োগ পাওয়ার কথা। প্রশ্ন হলো, ১ম নিবন্ধন আর ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধন কি একই ধরনের!

১-১২তম নিবন্ধনে ভাইভাও ছিল না। প্রশ্ন হলো, যে ভাইভার নম্বর যোগ হয় না, কিন্তু পরীক্ষার্থীদের ফেল করানো হয়, ১৩ ও ১৪তমদের মাসের পর মাস ধরে সে ভাইভা নিয়ে লাভ কী হলো? ২০১৫ সালে কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়োগের ক্ষমতা আসার পর এতদিন কেন ১-১২তম নিবন্ধনধারীদের মেধাতালিকা করে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি? এখন যথাসময়ে নিয়োগ না পাওয়ায় ১-১২তমরা যেমন ক্ষুব্ধ তার চেয়ে বেশি হতাশ এককভাবে নিয়োগপ্রত্যাশী ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধনধারীরা। এখন সব নিবন্ধনধারীর প্রতি সুবিচার এবং ১৩ ও ১৪তম নিবন্ধনধারীদের একক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত