‘ঘৃণ্য মোদিকে আমন্ত্রণ, বঙ্গবন্ধুকে অপমান’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:২৮
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে কিভাবে এই ঘৃণ্য ব্যক্তিকে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করে আমরা বুঝি না। আজকে মোদিকে এদেশে আমন্ত্রণ করা মানে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধরী বলেন, ‘হিটলারের উত্তরসূরি হলো এযুগের ইবলিশ অমিত সাহা। যেভাবে অমিত সাহা ও নরেন্দ্র মোদি মিলে নাগরিক অধিকার আইনের নামে অত্যন্ত অযৌক্তিক অন্যায় করেছে। এতে ভারতের কিছু লোক প্রতিবাদে সরব হয়েছে। আমরা ভারতের জ্ঞানী মানুষদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের একটি নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে কিভাবে এই ঘৃণ্য ব্যক্তিকে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করে আমরা বুঝি না। আজকে মোদিকে এদেশে আমন্ত্রণ করা মানে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা। শেখ মুজিবের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসম্মান মেনে নিতে পারি না। আমরা আশা করছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিবেন। আমন্ত্রন প্রত্যাহার না করলে এদেশের জনগণ বাধ্য হবে ‘নরেন্দ্র মোদি ফিরে যাও’ আন্দোলন করতে।
মোদির উদ্দেশ্য জাফরুল্লাহ বলেন, এই শয়তান এবং হিটলারের পরিকল্পনা সফল হতে দেওয়া যাবে না। এরা মানবতার শত্রু। এরা ভারতকে ধ্বংস করে মানবতাকে অগ্নিসংযোগ করছে।
খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী আজকে বিচার পায় কিনা আমরা দেখতে চাই। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমি আশা করছি তারা জামিন দিবেন। দেশে চিকিৎসা কিংবা বিদেশে চিকিৎসা এটা তার ব্যাপার কিন্তু এই মুহূর্তে তার একমাত্র চিকিৎসা উন্মুক্ত আলো বাতাস। বিচারকরা খালেদা জিয়াকে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে তার জামিন অত্যাবশ্যক।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানব বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তামান্না, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক আনোয়ার, রুবেল আকন্দ, কবির হোসেন জিহাদী, রায়হানুল ইসলাম রাজু , রাম সাহা প্রমুখ।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/কেআই