ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

দেশে ফিরে কি বার্তা দেবেন এরশাদ?

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৪২

দেশে ফিরে কি বার্তা দেবেন এরশাদ?
ফাইল ফটো

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন। শুক্রবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২০ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গণসাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এসেছিলেন এরশাদ। এরপর বাসা ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তিনি। কিন্তু নেতাকর্মীদের সামনে আসেননি। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে বনানী অফিসের সামনে কয়েক মিনিটের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। গাড়িতে বসেই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বাসায় চলে যান।

এরপর ১০ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স যোগে ঢাকা ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এপিএস মো. মনজুরুল ইসলাম ও ব্যক্তিগত স্টাফ আব্দুল ওয়াহাব মিয়া।

মনোনয়ন বাণিজ্যসহ বেশকিছু কারণে আসন্ন একাদশ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে এ নির্বাচনে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভোটের মাঠ থেকে জাপা প্রার্থীদের তুলে নিতে পারেন এরশাদ। সিঙ্গাপুর থেকে পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে এমনই নাকি বার্তা দিয়েছেন এরশাদ। তবে জাপা মহাসচিব এরশাদের এমন সিদ্ধান্ত ভেবে-চিন্তে নেবার ব্যাপারে মত দেন।

সোমবার দেশে ফিরবেন এরশাদ। দেশের ফেরার পর জাতীয় পার্টির নির্বাচনের মাঠে কি ভূমিকা হবে তা নিয়ে আবারো নতুন বার্তা দিতে পারেন এইচ এম এরশাদ বলে জানা গেছে।

এদিকে জাপা সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির ফেনীর একটি আসন থেকে মহাজোট প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়েছেন এরশাদ। জাপা নেতৃত্বের উপর দায় চাপিয়ে তার সরে দাঁড়াবার ঘোষণায় পার্টির নতুন মহাসচিব রাঙ্গাকেও নাকি ভর্ৎসনা করেছেন এরশাদ।

অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরে চলা ঢাকা-১৭ আসন থেকে এরশাদের সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জনের ব্যাপারে সিঙ্গাপুর থেকেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান। বলেছেন, ‘মৃত্যু হলেও তিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।’

এমনকি ওই আসনে জোরালো প্রচারণা চালানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফয়সাল চিশতীকে বিশেষ নির্দেশনাও দিয়েছেন এরশাদ। কিন্তু জাপার কোনো নেতাকর্মী এখনো ঢাকা-১৭ আসনে এরশাদের হয়ে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। এমনকি এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ রয়েছেন জাপার বিশেষ সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও।

জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির দেড় শতাধিক আসনে উন্মুক্ত প্রার্থী থাকায় বেকায়দায় পড়েছে মহাজোট প্রার্থীরা। একাধিক আসনে জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

এসব বিষয় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চরম বিক্ষুব্ধ এরশাদের উপর। এরশাদ দেশে ফেরার পর যদি উন্মুক্ত প্রার্থীরা তাদের অবস্থার পরিবর্তন না করেন তাহলে জাপার সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্য রকম বোঝাপড়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে জাপার নেতৃত্বে অনেক হ-য-ব-র-ল অবস্থার কারণে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে টিকে আছেন। সবাই চেয়ে আছেন এরশাদের দিকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত