ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

আমস্টারডাম শহরের লুকানো আকর্ষণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২২, ১৩:৫৪  
আপডেট :
 ০৩ জুলাই ২০২২, ১৪:১৬

আমস্টারডাম শহরের লুকানো আকর্ষণ

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম শহর প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক আকর্ষণ করে। আমস্টারডাম শহরে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের অভাব নেনে। তবে শহরের বাসিন্দাদের কাছে অনেক অজানা, অচেনা ও লুকানো দ্রষ্টব্যের হদিশ পাওয়া যায়। সে সব জায়গা শহরের ভিন্ন এক চিত্র তুলে ধরে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আনে ফ্রাঙ্ক ও আমস্টারডাম: আমস্টারডামের অন্যতম আকর্ষণ আনে ফ্রাঙ্কের বাড়ি । ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত নাৎসিদের কাছ থেকে পালিয়ে ঐ বাড়িতে ছিল আনে ফ্রাঙ্ক ও তার পরিবার৷ এই দুই বছর আনে ফ্রাঙ্ক তার অভিজ্ঞতা ডায়েরিতে লিখে রেখেছিল। ১৯৪৪ সালে তার পরিবারকে ধরে নিয়ে ব্যার্গেন-বেলসেন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে ১৫ বছর বয়সি আনে ফ্রাঙ্কের মৃত্যু হয়। তার লেখা ডায়েরি ৭০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

হিল্ডেগ্রাড ফন বিঙ্গেন ও বিঙ্গেন: হিল্ডেগ্রাড ফন বিঙ্গেন জার্মানির সায়েন্টিফিক ন্যাচারাল হিস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বলে মনে করা হয়। তিনি মঠাধ্যাক্ষা, লেখক, কম্পোজার, দার্শনিক এবং আরও অনেক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। তিনি দুটি মনাসটেরিও প্রতিষ্ঠা করেছেন। জার্মানির রাইন নদীর পাড়ের বিঙ্গেন শহরে ‘হিল্ডেগ্রাড পথ’-এ হাঁটা যেতে পারে। এই পথে হিল্ডেগ্রাড নামে নামকরণ করা ‘দ্য অ্যাবে অফ সেন্ট হিল্ডেগ্রাড’।

ম্যারি কুরি ও ওয়ারশ: রেডিওঅ্যাক্টিভিটি নিয়ে গবেষণার জন্য ১৯০৩ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছিলেন ম্যারি কুরি। অথচ নারী হওয়ার কারণে তাকে কলেজে পড়তে দেয়া হয়নি। তাই তিনি লুকিয়ে গণিত আর পদার্থবিদ্যা নিয়ে লেখাপড়া করেছিলেন। পোল্যান্ডের ওয়ারশতে ম্যারি কুরির জন্মস্থান এখন জাদুঘর।

প্রিন্সেস ভিলহেলমিনে অফ প্রুশিয়া ও বায়রইট: প্রুশিয়ার রাজা ফ্রেডরিক দ্য গ্রেটের বোন মার্কগ্রাফিনে ভিলহেলমিনে (১৭০৯-১৭৫৮) নিশ্চিতভাবেই ১৮ শতকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নারী ছিলেন। তিনি জার্মানির বায়রইটে নিউ প্যালেসসহ আরও কয়েকটি দারুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন। জ্ঞান ও শিল্পজগতে একজন সফল মানুষ ছিলেন ভিলহেলমিনে।

ডাচেস আন্না আমালিয়া ও ভাইমার: ১৮ শতকে কম্পোজার হিসেবে নাম করেছিলেন আন্না আমালিয়া। সাহিত্যের প্রতিও তার যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। ১৭৬৬ সালে তিনি ডাচেস আন্না আমালিয়া লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন।ভাইমারে গেলে ঐ লাইব্রেরির অলঙ্কারে পূর্ণ হল দেখা উচিত।

রোজা লুক্সেমবুর্গ ও বার্লিন: যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট ও মার্ক্সিস্ট ছিলেন রোজা লুক্সেমবুর্গ। ১৯১৯ সালে শ্রমিক আন্দোলনের সময় তার নির্মম মৃত্যু হয়। বিপ্লবী নেতা হিসেবে তিনি কখনও কারও সঙ্গে আপশ করেননি। প্রতিবছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে বার্লিনে যেখানে তিনি মারা গিয়েছিলেন, সেখানে অনেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

মারিয়া স্টুয়ার্ট ও লিনলিথগো: ১৫ শতকে স্কটল্যান্ডের লিনলিথগোতে এই বাড়িতে জন্মেছিলেন স্কটল্যান্ডের রানি ‘ম্যারি কুইন অফ স্কটস’, যিনি ম্যারি স্টুয়ার্ট নামেও পরিচিত ছিলেন। নিজের প্রতি হুমকি বিবেচনা করে ম্যারিকে বিভিন্ন প্রাসাদে ১৮ বছর আটকে রেখেছিলেন তার কাজিন ইংল্যান্ডের প্রথম রানি এলিজাবেথ। ১৫৮৬ সালে ম্যারিকে এলিজাবেথকে হত্যাচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এর পরের বছর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

জেন অস্টেন ও চটন: লেখিকা অস্টেন (১৭৭৫-১৮১৭) তার সময়ের চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। তিনি বিয়ে না করে লেখালেখি করে সময় ব্যয় করেন। ১৮০৯ সালে তিনি তার মা ও বোনের সঙ্গে ইংল্যান্ডের চটন শহরে বসবাস শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি তার বই প্রকাশ করা শুরু করেন যেমন ‘সেন্স অ্যাণ্ড সেনসিবিলিটি’,‘প্রাইড অ্যাণ্ড প্রেজুডিস’,‘মানসফিল্ড পার্ক’ও ‘এমা’৷ অস্টেনের কটেজ এখন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত