ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন

‘ভোট ডাকাতি’ করতেই ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৬:২৬  
আপডেট :
 ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৬:২৮

‘ভোট ডাকাতি’ করতেই ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র পথ সহজ করতে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অহিংস নির্বাচনের পক্ষে। যাতে ভোটাররা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে যথাযথভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। বেছে নিতে পারে পছন্দের প্রার্থীকে। আমরা নিশ্চিত, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমার বিজয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু নির্বাচনের আগে ব্যাপক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল, সহ-সভাপতি ফাহিমুর রহমান ফাহিম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি এনামুল হক এনাম, যুবদল নেতা ঈসমাইল সহ অন্যদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে আমাদের কোণঠাসা করতেই এ মামলা। যাতে আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে না পারে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ভোট ডাকাতির নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে এ মামলা করা হয়েছে কিনা?’

তিনি বলেন, ‘মামলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার চেষ্টার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে আমাদের কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ত নয়। মূলত নেতাকর্মীদের ফাঁসিয়ে ভোট ডাকাতির পথ সহজ করতে একটি মহলের ইন্ধনে এ সাজানো মামলা। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওইদিন ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে তারা যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও যানবাহনে আগুন দেয়। কিন্তু যে সময়ে নাশকতার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে ওই সময়ে শহরের মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। তখন গাড়িও চলে না। সেখানে নাশকতার চেষ্টা কিভাবে হয় তা আমাদের প্রশ্ন।’

রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপ্রিয়। কক্সবাজারে বিএনপি অতীতেও কোন ধরনের বিতর্কিত কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। ভবিষ্যতেও থাকবেনা। আমরা অহিংস পরিবেশে নির্বাচনে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি জনগণই ক্ষমতার মূল উৎস। তারপরও বারবার আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভোটাররা অবশ্যই ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে। আমি অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। কর্মীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। পোষ্টার লাগানোর সাথে সাতে ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এটি কিসের ইঙ্গিত?’

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সদর-রামু আসনের সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।

লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, ‘যেখানে পুলিশ কোন ঘটনা ছাড়াই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিতে পারে সেখানে পুলিশের ভূমিকা কি হতে পারে সহজেই অনুমেয়। নির্বাচনে আমরা যাদের এজেন্ট দেবো তাদের হয়তো বলা হবে, এরা নাশকতা মামলার আসামি। তারপর ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজনকে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। তারা ছাত্রদল এবং যুবদলের রাজনীতি করেন। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘এ মামলা দায়েরের পর পুলিশের ভূমিকা আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমরা তাদের উপর আস্তা রাখতে পারছিনা। আমরা চাই এ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হোক।’

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল সেতু সংলগ্ন এলাকায় নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪২ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাশেদুল কবির বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত