ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুত্রের হাতে পিতা খুন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:০০  
আপডেট :
 ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:০৫

পুত্রের হাতে পিতা খুন

নরসিংদী পৌর এলাকার চৌয়ালায় পুত্রের শাবলের আঘাতে খুন হলেন পিতা। ৯ নভেম্বর শুক্রবার সকালে শহরের চৌয়ালা নামক স্থানে এ নির্মম ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফজলুল করীম চৌয়ালা এলাকার লাল মাহমুদের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে মাসুম মিয়া (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের স্বজনেরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ নিহত ফজলুল করিম চৌয়ালা মার্কেটে মুদি মালের ব্যবসা করে আসছেন। আর তা দিয়েই তিন ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে তার সংসার চলতো। প্রায় ৬ বছর আগে নিহতের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেলে তিনি আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী নিয়ে ভালোভাবেই চলছিলো তার সংসার। কিন্তু প্রথম পক্ষের দুই ছেলে মাসুম ও মামুন দুই ভাইয়ের সম্পত্তির লোভ এই সুখে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

তারা চাইতেন তাদের বাবা ফজলুর করিম যেন তার সম্পদ ভাগ-বাটোয়ারা করে দেন। কিন্তু ফজলুর করিম তা করতে চাননি। এ নিয়ে মাসুম প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। প্রায় দেড় বছর আগেও ঝগড়া হলে মাসুম তার পিতার মাথায় আঘাত করেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় ফজলুল করিমের বাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে আসলে ফজলুল করিম তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বেশ কিছুদিন জেলে থাকার পর পরিবারের অনুরোধে তিনি তার ছেলেকে জেল থেকে বের করে আনেন। জেল থেকে বের হয়ে মাসুম আবার আগের রূপ ধারণ করেন।

দুইভাই প্রায়ই সৎ মায়ের সাথে ঝগড়া করতেন। ঝগড়ার সময় বেশ কয়েকবার বাবাকে খুন করার হুমকি দেন। ফজলুল করিম ছেলের ভয়ে প্রায় সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে তার মেয়ের জামাই বিদেশ থেকে আসার কথা ছিল। তাই তিনি মেয়ের জামাইকে আনতে যাবার জন্য তৈরি হতে সকালে বাড়িতে যান।

কিন্তু তিনি যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে অটোতে উঠবেন ঠিক তখনই দুই ছেলে মাসুম ও মামুন তার পথ আটকে টাকা চায়। পরে টাকা না দেওয়ার কথা বলতেই, পেছন থেকে মামুন শাবল দিয়ে তার ঘাড়ে কোপ দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকে ছোট ছেলে মামুন পলাতক রয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত