ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাপে মোদি সরকার: ভোটাভুটিতে নেই শিবসেনা-বিজেডি

চাপে মোদি সরকার: ভোটাভুটিতে নেই শিবসেনা-বিজেডি

অনাস্থা ভোট শুরু হওয়ার আগেই শাসক শিবিরে জোড়া ধাক্কা। এনডিএ-র অন্যতম বড় শরিক শিবসেনা অংশ নিচ্ছে না অনাস্থা ভোটে। অন্যদিকে আলোচনার শুরুতেই ওয়াক আউট করেছেন বিজেডি যথা বিজু জনতা দলের সাংসদরা।

বৃহস্পতিবার শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছিলেন, অনাস্থা ভোটে তারা অংশগ্রহণ করবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সন্ধ্যার মধ্যে জানানো হবে। পরে বলা হয়, শুক্রবার সকালেই সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা। ঘোষনা অনুযায়ী শুক্রবার সকালেই শিবসেনা জানিয়ে দেয়, অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবেন না দলের ১৮ সাংসদ। সংখ্যার দিক থেকে ক্ষমতাসীন এনডিএর সমস্যা না হলেও বরাবরের জোটসঙ্গী শিবসেনার ভোটে অংশ না নেওয়া বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা থেকে লোকসভায় চলছে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা আলোচনার শেষে হবে ভোটাভুটি। আলোচনার মাঝখানে মধ্যাহ্নভোজের জন্যও বিরতি হবে না বলে জানিয়েছে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’।

ম্যাজিক ফিগার নিয়ে এনডিএ তথা বিজেপি আত্মবিশ্বাসী থাকলেও লোকসভা ভোটে জয় পাওয়া সব আসন ধরে রাখা নিয়ে চিন্তায় বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসসহ বিরোধীরাও যতটা সম্ভব সংখ্যা বাড়াতে তৎপর। বিরোধীরা যে সরকারের বিরুদ্ধে একজোট সেটা প্রমাণেরও মরিয়া চেষ্টা চলছে।

প্রতিটি দলের সাংসদ সংখ্যার নিরীখে আলোচনার সময় বরাদ্দ করেছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। সেই অনুযায়ী বিজেপি সাংসদরা আলোচনার সময় মোট তিন ঘণ্টা ৩৩ মিনিট। কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ ৩৮ মিনিট। দলের পক্ষে রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি বলবেন মল্লিকার্জুন খড়্গে। কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআইএম, টিডিপি এবং এআইএমএম অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও লটারিতে টিডিপির প্রস্তাবই গৃহীত হয়। তাই সবার আগে টিডিপির সাংসদরা আলোচনা শুরু করবেন। এআইএডিএমকে ২৯ মিনিট, তৃণমূল ২৭, বিজেডি ১৫ এবং টিআরএস-এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯ মিনিট সময়।

কৃষি ও কৃষকদের সমস্যা, অর্থনীতির দুরবস্থা, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি, গুজবের জেরে গণপিটুনির মতো ইস্যুতে ঝড় তুলবেন কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্যের জবাবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভার একটি সূত্রে খবর প্রধানমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ভাষণ দেবেন। তারপর ভোটাভুটি হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার সকালেই অনাস্থা নিয়ে টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে আজ গুরুত্বপূর্ণ দিন। আশা করি আমার সহকর্মীরা গঠনমূলক, সুসংহত ও বিশৃঙ্খলা মুক্ত আলোচনা করবেন। গোটা দেশ আজ আমাদের উপর নজর রাখবে এবং দেখবে।’

টিডিপি সাংসদদের বক্তব্য: অন্ধ্রপ্রদেশকে স্পেশাল স্টেটাসের দাবি নিয়ে বঞ্চনা করা হয়েছে। অন্ধ্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কেন্দ্র তথা নরেন্দ্র মোদির সরকার। অন্যায় করা হয়েছে রাজ্যবাসীর সঙ্গে। অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা হওয়ায় রাজ্যের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ঘাড়ে চেপেছে বিপুল ঋণের বোঝা। অথচ কেন্দ্র কোনও আর্থিক সাহায্য করেনি। গুন্টুরের টিডিপি সাংসদ জয়দেব গল্লা বলেন, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যকে ‘স্পেশাল স্টেটাস’-এর স্বীকৃতি দাবি করা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণলিয় আশ্বাস দিয়েছিল, বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি পয়সাও দেওয়া হয়নি।

সূত্র: এনডিটিভি/ আনন্দবাজার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত