ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫০ মিনিট আগে
শিরোনাম

শোডাউন ছাড়া চমক থাকছে না এরশাদের মহাসমাবেশে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৮, ২১:৩৪  
আপডেট :
 ২৩ মার্চ ২০১৮, ২২:২৭

শোডাউন ছাড়া চমক থাকছে না এরশাদের মহাসমাবেশে

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এই মহাসমাবেশে ‘বড় ধরণের শোডাউন’ ছাড়া এরশাদের নতুন কোন চমক থাকছেনা। রাজধানীতে লোকসমাগমের মাধ্যমে বড় ধরণের মহাসমাবেশ করে শক্তি প্রদর্শন করাই এই মহাসমাবেশে উদ্দেশ্য্

দলের নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, বিশাল বাজেটের এই মহাসমাবেশ থেকে দেশ ও জাতির নতুন কোন বার্তা নেই। বড়জোর বিভাগীয় পর্যায়ে জোটের ব্যানারে মহাসমাবেশসহ সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন এরশাদ। জাতীয় পার্টি জোটের ব্যানারে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

সূত্র আরো জানায়, সমাবেশ থেকে বরাবরের মত জোটের ব্যানারে তিনশ' আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দেবেন এরশাদ। এই ঘোষণা তিনি প্রত্যেক কর্মসূচিতেই দিয়ে আসছেন। মহাসমাবেশের মধ্যদিয়ে আগামী নির্বাচনের চূড়ান্ত যাত্রার কথাও বলতে পারেন তিনি। মূলত সাংগঠনিক কর্মসূচি ছাড়া এরশাদের এই মহাসমাবেশে নতুন কোন চমক থাকছে না। তবে লোক সমাগম করে নেতাদের ক্যাপাসিটি ও দলের শক্তি যাচাই করতে চান এরশাদ। এজন্যই নির্বাচনের আগে এমন মহাসমাবেশের মহড়া।

খবর নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় আসতে চান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন ‍মুহম্মদ এরশাদ। এই কর্মসূচিতে লোকসমাগম করে রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে চান তিনি।

মূলত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষি করে বিশেষ সুবিধা অর্জনই তার প্রধান লক্ষ্য। এজন্যই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তার এই মহাসমাবেশ কর্মসূচি। আগামী নির্বাচনে যাতে জাতীয় পার্টিকে একটি সন্তোষজনক স্থানে নিয়ে যেতে পারেন।

দলের নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি দিয়ে বড় ধরণের শোডাউন করে নির্বাচন পর্যন্ত আলোচনায় থাকতে চান এইচ এম এরশাদ। শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ তারই অংশ মাত্র। এই মহাসমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগম করে বড় ধরণের শোডাউন করতে চান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। যাতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষি করে বিশেষ সুবিধা নিতে পারেন তিনি।

জানা গেছে, মহাসমাবেশে শোডাউন করে রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেবেন এরশাদ। তিনি দেখাতে চান দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি এখনও ফ্যাক্টর। তার দল ফুরিয়ে যায়নি, বরং আরো শক্তিশালী হয়েছে। আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করতে হলে এরশাদকেই লাগবে। নিজের গুরুত্ব তুলে ধরতেই তিনি এই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছেন।

তবে ভিন্নমত প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৯ বছরের সফল রাষ্ট্রনায়ক এরশাদ সবসময় আলোচনার শীর্ষে। রংপুর সিটি ও গাইবান্ধা উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিজয়ের মধ্যদিয়ে আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তা প্রমাণ হয়েছে। নতুন করে আলোচনায় কিংবা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রপরিচালনায় তার দক্ষ নেতৃত্ব দেশের মানুষের কাছে সাবেক রাষ্ট্রপতি যেমন জনপ্রিয় ঠিক তেমনি বিদেশি বন্ধুদের কাছে তার কদর এখনও অন্য যে কোন রাজনীতিকদের চেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি।

তিনি আরো বলেন, শনিবার মহাসমাবেশে প্রমাণ হবে এরশাদের জনপ্রিয়তা। পার্টির চেয়ারম্যান দেশ ও জাতিকে আগামী দিনের দিক নির্দেশনা দেবেন। ক্ষুধামুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে সম্মিলিত জাতীয় জোটের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবেন।

জাতীয় পার্টির নেতারা মনে করেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে নির্বাচনের আগে এরশাদ জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসবেন। এতে দলের চেয়ারম্যান এরশাদ ও তার দল জাতীয় পার্টির লাভই হবে। দেশের জনগণ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ভাববে। নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মাঝেও একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিকল্প মনে করবে জাতীয় পার্টিকে। একইসঙ্গে বিদেশি বন্ধুদের সুনজরেও পড়বেন এরশাদ।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, মহাসমাবেশ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হবে। মানুষের মুক্তির জন্য ডাক দেবেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মহাসমাবেশ থেকে জাতীয় পার্টি জোটের নতুন যাত্রা শুরু হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপরিচালনায় বড় দুটি দল ব্যর্থ। মানুষ তাদের ভাল করে দেখেছেন। তাদের ব্যর্থতার কারণে দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি মনে করছে।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এরশাদের এই মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশে এলাকা জাপা নেতাদের পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা এখন থেকেই মহাসমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছে। মহাসমাবেশে জোটের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ জোটের শীর্ষনেতারা বক্তব্য রাখবেন।

এসআইএস/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত