ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

তারেক রহমান বাংলাদেশের ভোটার নন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৪৫  
আপডেট :
 ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:৫৬

তারেক রহমান বাংলাদেশের ভোটার নন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তার ভোটার না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংশ্লিষ্টরা।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে (২০০৭-২০০৮) বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হলেও সেসময় জেলে থাকায় ভোটার হতে পারেননি তারেক রহমান। পরবর্তীতে জেল থেকে প্যারোলে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার দেশের বাইরে চলে যাওয়া এবং অদ্যাবদি দেশের বাইরে অবস্থান করায় ভোটার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েই আছেন। যে কারণে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে জাতীয়পত্রও পাননি তিনি।

২০০৮ সালে স্বপরিবারে লন্ডন যাওয়ার পর অদ্যাবদি সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান। যে পাসপোর্ট নিয়ে তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন, তার মেয়াদ ২০১৩ সালে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে তার পাসপোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে ‘সারেন্ডার’ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তারেক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে শাহরিয়ার মনে করেন।

তবে বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারেক রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য তার পাসপোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারকে জমা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছাড়েননি। দু’পক্ষের এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই গত বুধবার তারেকের ভোটার না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে থাকা ফয়সল কাদের। তিনি বলেন, সাব জেলে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ভোটার করতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।

পরে সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসায় ফিরলে ওই ঠিকানায় তাকে ভোটার করা হয়। ওই বাড়ির ঠিকানায় কয়েকজন গৃহকর্মীও সে সময় ভোটার হয়েছিলন। তবে ওই সময় তারেক রহমান ওই ঠিকানায় না থাকায় ভোটার করা যায়নি।

তারেক সে সময় ভোটার হয়েছিলেন কি না, এনআইডি পেয়েছিলেন কি না- সেসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমানের কাছে। তিনি বলেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমি এসব বিষয়ে জানি না এবং গবেষণাও করিনি। ভোটার হওয়ার বিষয়গুলোও আমার জানা নেই।

তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির বলেন, উনি (তারেক) তো ওই সময় জেলে ছিলেন। ম্যাডাম সম্ভবত একাই ভোটার হয়েছিলেন। উনি (তারেক) ভোটার হয়েছিলেন কি না শিওর না। আমরাও জানার চেষ্টা করছি।

২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডন যাওয়ার পর আর ফেরেননি তারেক। সেখানে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের আদালতে দুটি মামলায় তার কারাদণ্ডের রায় হয়। আবার তিনি বিএনপি জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানও হন। মা বন্দি হওয়ার পর এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

সূত্র: বিডিনিউজটুয়েন্টিফোরডটকম

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত