ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘বিএনপির অনশনে বেশি খাবার বিক্রি হয়েছে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৬  
আপডেট :
 ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:০০

‘বিএনপির অনশনে বেশি খাবার বিক্রি হয়েছে’

বিএনপির অনশনের সময় বেশি খাবার বিক্রি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রচার উপকমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি প্রতীকী অনশনে আমরা খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, ঢাকা ও অন্যান্য এলাকায় যেসব জায়গায় প্রতীকী অনশন হয়েছে, সেখানের আশেপাশের খাবারের দোকানগুলোতে বেশি বেচাকেনা হয়েছে। কিরকম প্রতীকী অনশন হলো যে সেখানের খাবারের দোকানগুলোতে বেশি বিক্রি হলো? আসলে বিএনপির সব কাজেই গোঁজামিল। এটারই লক্ষণ হচ্ছে প্রতীকী অনশনের সময় খাবারের দোকানগুলোর বেশি বিক্রি হওয়া’।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের মানুষের প্রতিও বিএনপির কোনো আস্থা নেই। এজন্য তারা এখন বিদেশমুখী হয়েছেন। দেশের মানুষের কাছে তাদের কোনো নালিশ নেই, নালিশ এখন বিদেশিদের কাছে। এজন্য তারা বিদেশমুখী হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি বাংলাদেশের মানুষের জন্য। আমাদের যদি কোন বক্তব্য থাকে তাহলে সেটি আমরা জনগণকে গিয়ে বলব। আমাদের যদি অনুযোগ থাকে সেটিও আমরা জনগণকে গিয়ে বলব। বিএনপি জাতিসংঘে যাওয়ার মাধ্যমে এটিই প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই। তারা নালিশ বাংলাদেশের মানুষকে দিচ্ছে না বরং বিদেশে গিয়ে বিদেশিদের কাছে উপস্থাপন করছে। এটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ। জনগণের উপর তাদের আস্থাহীনতারই বহিঃপ্রকাশ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার সুবিধার্থে পুরাতন জেলখানায় আদালত স্থাপন করা হয়েছে দাবি করে হাছান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গতকাল আদালতে হাজির হয়নি। কারা অভ্যন্তরে যে আদালত স্থাপন করা হয়েছে এটা তার সুবিধার্থে। খালেদা জিয়ার মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আরো ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু বেগম খালেদা অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তিনি নিজে ও তার আইনজীবীরা তাকে আদালতে হাজির করেননি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটাকে নিয়মিত কারাগার বলা যাবে না। নিয়মিত কারাগার কেরানীগঞ্জে চলে গেছে। এটা পুরানো কারাগার। সেখানের পরিত্যক্ত ভবনগুলোর একটিতে আদালত স্থাপন করা হয়েছে। সেটি একটি ওপেন আদালত। সেখানে আইনজীবীরা যেতে পারেন, সাংবাদিকরা যেতে পারেন।

আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নিজে কালকে সেখানে উপস্থিত হননি। প্রকৃতপক্ষে আইন আদালত বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক, বিএনপি কর্তৃক, বিএনপির আইনজীবী প্যানেল কর্তৃক প্রচণ্ডভাবে হেনস্তার শিকার। খালেদা জিয়ার গতবার গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং গতকাল হাজির না হওয়া দেশের আইনের প্রতি, আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়।

আমরা আশা করব বিএনপি আইন এবং আদালতকে সমুন্নত রাখার শর্তে কাজ করবে। যদিও তাদের সমস্ত কাজেই গোঁজামিল বলেও দাবি করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নিজে যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি এরশাদের বিচার কারাগারের একটি ভবনের মধ্যে করেছিলেন এবং কর্নেল তাহেরের বিচার কারাগারের অভ্যন্তরে করা হয়েছিলো। সেটি কোন ওপেন আদালত ছিল না। সেটি একটি ক্যামেরা ট্রায়েল ছিল। আর আজকে যেটি করা হয়েছে সেটিকে কারাগার বলা যাবে না। বিকজ এটি কোন নিয়মিত কারাগার নয়। পরিত্যক্ত কারাগারের একটি ভবনে কারাগার স্থাপন করা হয়েছে। বেগম জিয়ার যাতে দূরে যেতে না হয় সেজন্য তার সুবিধার্থে করা হয়েছে। সুতরাং কারা আসলে আইন মানেন না, আদালত মানেন না এবং কারা আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন বা করে যাচ্ছেন?

তিনি বলেন, আমার যেটা মনে করি গণতন্ত্রকে সংহত করার জন্য এবং দেশের আইনকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বিএনপি একটি প্রতিবন্ধক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

বিএনপির সব কিছু নিয়ে আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করছে- বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। তারা বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে যেরকম ক্রমাগত মিথ্যাচার করে আসছেন। মাস দেড় দুই আগে তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছিলো বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা মরণাপন্ন, এজন্য তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে হবে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রচার উপ কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিও/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত