ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জামিন নিয়ে এবার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আউয়ালের ভয়াবহ অভিযোগ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২০, ১৭:৩১

জামিন নিয়ে এবার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আউয়ালের ভয়াবহ অভিযোগ

জামিন ও জজ নাটকের রেশ না কাটতেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল।

বুধবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

আউয়াল বলেন, মঙ্গলবার দুদকের মামলায় আমি এবং আমার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর করতে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল মান্নানকে প্রভাবিত করেছেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিষয়টি নিয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর নাজিরপুরের বাসায় গোপন বৈঠক করেন বিচারক আবদুল মান্নান। পরদিন ১ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এস এম বেলায়েত হোসেন ও আমার আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নানের সঙ্গে জামিনের বিষয়ে আলাপ করতে গেলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, শ ম রেজাউল করিম প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেন। এছাড়া মন্ত্রী তার ভাইদের ঠিকাদারি কাজে যুক্ত করে কয়েকশ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। এমনকি আলোচিত ক্যাসিনো সম্রাট জি কে শামীমের কাছ থেকে ৩টি কালো রঙের দামি গাড়ি উপঢৌকন নিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সাড়ে ৫০০০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিয়েছেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: পিরোজপুরের জেলা জজ বদলি নিয়ে হাইকোর্টের রুল

সাবেক এই এমপি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের অংশগ্রহণের কথা মিথ্যা। শ ম রেজাউল করিম ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সে হিসেব অনুযায়ী ১৯৭১ সালে তার বয়স ৯ বছর। এ বয়সে তিনি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং কোথায় যুদ্ধ করেছেন তা আমরা জানতে চাই।

এসব বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তার সবই মিথ্যা। নিজের দোষ ঢাকার জন্য এসব কথা বলছেন আউয়াল। তার এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে দুদকের ৩ মামলায় এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান।

এই রায়ের কয়েক ঘন্টা পরপরই বিকেল ৩টার দিকে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নানকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। সাবেক এমপিকে কারাগারে পাঠানো বিচারক বদলির ঘটনায় শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

এরই মধ্যে আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন খারিজের পর পিরোজপুর জেলা জজ আবদুল মান্নানকে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত