লাঞ্ছিত সেই বয়োবৃদ্ধদের বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাইলেন ইউএনও
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২০, ১৬:৫৯
চিনেটোলা বাজারে লাঞ্ছনার শিকার বয়োবৃদ্ধদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মণিরামপুরের ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী।
এর আগে শুক্রবার যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনেটোলা বাজারে চার ব্যক্তিকে কান ধরে উঠবস করান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানের হাতে লাঞ্ছিত সেই বয়োবৃদ্ধদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের ক্ষমা চেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী।
আরো পড়ুন: প্রবীণদের শাস্তির বিষয়ে এবার মুখ খুললেন এসিল্যান্ড
পাশাপাশি লাঞ্ছিতদের পরিবারের সদস্যদের চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ এবং ক্ষারযুক্ত সাবান দেওয়া হয়। এছাড়া মুজিববর্ষে তাদের প্রত্যেককে ঘর বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার বেলা ১২টার দিকে ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী চিনেটোলা বাজারে লাঞ্ছনার শিকার ওই বয়োজ্যেষ্ঠদের বাসায় যান। সেখানে তিনি ও শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
ওসি আরও জানান, ইউএনও তাদের প্রত্যেকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। তাছাড়া তাদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ এবং প্রত্যেককে ঘর তৈরি করে দেয়ার ঘোষণা দেন।
জানতে চাইলে ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, তারা সবাই বয়োজ্যেষ্ঠ। আমি যখন হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করি, তাদের মুখে হাসি দেখেছি। তারা বাবার বয়সী। উনারা আমাদের ক্ষমা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আপৎকালীন এই সময়ে তারা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন সেকারণে কিছু খাদ্যদ্রব্য ও সাবান দেয়া হয়েছে। এছাড়া অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদের ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।
আরো পড়ুন: সাইয়েমা'র বদলে নতুন দায়িত্বে গোলদার
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযানকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনেটোলা বাজারে চার ব্যক্তিকে কান ধরে উঠবস করান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান। ওই ব্যক্তিদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন তিনি। ঘটনার ছবিও তোলেন তিনি। বিষয়টি গতরাতেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের এমন অবমাননাকর শাস্তি দেয়ায় সর্বত্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানকে প্রত্যাহার ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে