ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

৪ জনের করোনা, ৮২ পরিবার লকডাউন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২০, ১০:০৩

৪ জনের করোনা, ৮২ পরিবার লকডাউন

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় একই পরিবারের ৩ জন ও জাজিরায় একজন করোনা শনাক্ত হওয়ায় দুই উপজেলার ৮২টি পরিবারকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

আক্রান্ত ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আজিমপুর থেকে শরীয়তপুরে আসায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর ওই চারজনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তর কারণে জাজিরা উপজেলার বড় মূলনা তালুকদার কান্দির ৮০টি পরিবার ও শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া টুমচর এলাকার দুটি পরিবারকে লকডাউন করেছে প্রশাসন।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত পরিবারটিসহ পুরো গ্রাম লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েনসহ সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, গত ১০ এপ্রিল শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া টুমচর এলাকার একই পরিবারের ৩ জন নারায়নগঞ্জ থেকে ও গত ৯ এপ্রিল ঢাকার আজিমপুর থেকে এক ব্যক্তি জাজিরা বড় মূলনা তালুকদার কান্দির এলাকায় আসেন। পরে তাদেরসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করেআইইডিসিআরে পাঠোনো হয়। সোমবার বিকেলে তাদের পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ পাই। বাকি ১১ জনের ফলাফল এখনও হাতে পাইনি। শরীয়তপুর থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট সন্দেহভাজন ৫০ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫ জনের ফলাফল নেগেটিভ ও চারজনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নড়িয়া উপজেলার ৩৪ পরিবারের ১৮৯ জনকে লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি উপজেলার হাটবাজার লকডাউন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত