মৃত্যু বেড়ে ৫৪৪, মোট আক্রান্ত ৩৮২৯২
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২০, ১৫:১৯ আপডেট : ২৭ মে ২০২০, ১৫:৪০
দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরানে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫৪৪ জন। এই সময়ে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে ১ হাজার ৫৪১ জনের শরীরে। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৯২ জনে।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
আরো পড়ুন: মৃত ২২ জনের বাড়ি যেসব এলাকায়
এসময় সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বানসহ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে যারা করোনার এই মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
এদিকে চব্বিশ ঘণ্টায় ৩৪৬ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন। চব্বিশ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.২২ শতাংশ। দেশে শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৭০ শতাংশ; মৃত্যু হার ১.৪২ শতাংশ।
সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করা ২২ জনে পুরুষ ২০ জন, নারী দুজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন (ঢাকা শহরের পাঁচজন), চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন এবং সিলেট বিভাগের দুজন। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
আরো পড়ুন: করোনায় মৃত ২২ জনের সম্পর্কে যা বললো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
বুলেটিনে বলা হয়, বয়স বিবেচনায় ০-১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে দুজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে একজন।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, দেশের ৪৮টি ল্যাবে চব্বিশ ঘণ্টায় মোট ৭ হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ১৫টি নমুনা। চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ২৮১ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ৫৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৯৯৪ জন।
গত একদিনে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৭৮৯ জনকে। আর ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৬ হাজার ৬৯৬ জন।
আরো পড়ুন: এ বছরই মিলবে করোনা ভ্যাকসিন, উৎপাদনে নোভাভ্যাক্স
প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫৬ লাখ ছুঁইছুঁই। মারা গেছেন তিন লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ২৩ লাখ ৬৮ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এপ্রিলের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। বর্তমানে দেশের বিভিন্নস্থানে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম