ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশ হেফাজতে ওসি প্রদীপকে কক্সবাজারে নেয়া হচ্ছে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৬:৫৫  
আপডেট :
 ০৬ আগস্ট ২০২০, ১৬:৫৮

পুলিশ হেফাজতে ওসি প্রদীপকে কক্সবাজারে নেয়া হচ্ছে

সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার মামলার আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে আত্মসমর্পণ করার জন্য পুলিশি পাহারায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে এসেছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ। তাকে এখন পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজারে নেয়া হচ্ছে। তিনি যেহেতু মামলার আসমি, তিনি সেখানে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।

টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় তার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস যে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, তাতে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশকে।

শারমিন বুধবার সকালে টেকনাফের বিচারিক হাকিম আদালতে মোট ৯ জনকে আসামি করে ওই মামলা করার পর বিকালে টেকনাফ থানা থেকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়।

মামলার ১ নম্বর আসামি বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে আগেই প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ বুধবার হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলার তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয় বলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বিএম মাসুদ হোসেন জানান।

তবে র‌্যাব বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মামলার নথিপত্র বুঝে পায়নি জানিয়ে কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, “দায়িত্ব বুঝে পেলে নিয়ম অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করব।”

দুই বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া সিনহা মো. রাশেদ খান ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গত প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে তিনি উঠেছিলেন নীলিমা রিসোর্টে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়ে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। এই ঘটনায় পুলিশ মামলাও করে।

তবে পুলিশের এই ভাষ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বুধবারই কক্সবাজারের আদালতে মামলা করেন তার বোন শারমিন।

এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ওসি প্রদীপের ফোনে পাওয়া নির্দেশে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লিয়াকত আলি গুলি করেছিলেন সিনহাকে।

মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- টেকনাফ থানার এসআই দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল এবং কনস্টেবল মো. মোস্তফা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত