ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনায় সব খুললেও বন্ধ পার্ক-চিড়িয়াখানা

  কিরণ শেখ

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২০, ২০:৫২  
আপডেট :
 ০৮ আগস্ট ২০২০, ২১:০৩

করোনায় সব খুললেও বন্ধ পার্ক-চিড়িয়াখানা
ছবি: সৈয়দ মেহেদী হাসান

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই গণপরিবহন, ট্রেন, গার্মেন্টস ও শপিং মলসহ সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। তবে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৪ মাসের অধিক সময়কাল হলেও এখন পর্যন্ত রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা এবং জাদুঘরসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়নি। পাশাপাশি সারাদেশে স্কুল এবং কলেজগুলোও বন্ধ রয়েছে।

এই দীর্ঘ সময় ঘরবন্দী থাকার কারণে শিশুর মানসিক বিকাশে অনেকটা বাধা তৈরি হচ্ছে। আর এমন পরিবেশে শিশুদের ওপর ঝড় বয়ে চলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই স্কুল ও কলেজগুলোতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু এরপরও শিশুর সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। এরমধ্যে বিশেষ করে খেলাধুলা, পার্ক, চিড়িয়াখানা এবং জাদুঘরগুলো শিশুর মানসিক বিকাশে অনেক বেশী সহযোগিতা করে। আর এর প্রতিফলন ঘটে তার ব্যক্তিত্বে।

বিশেষজ্ঞরা ভাষ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই গণপরিবহন, ট্রেন, গার্মেন্টস ও শপিং মলসহ সকল ব্যবসায়িক খুলে দেয়া হলো, সেখানে পার্ক, চিড়িয়াখানা ও জাদুঘরগুলো খুলে দিতে সমস্যা কোথায়? কারণ গণপরিবহন ও ট্রেনে যাত্রীরা গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসে, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু পার্কগুলোতে মানুষ শরীরচর্চা করতে চায়। আর সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব।

অন্যদিকে শরীরচর্চার কারণে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা ভাইরাস রোধে সহায়কও হতে পারে।

এদিকে আজ (শনিবার) বিকেলে মিরপুর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছে মিলন নামে এক দর্শনার্থী। কিন্তু পার্কে এসেই তিনি দেখতে পান গেটে তালা ঝুলছে। তখন মন খারাপ করেই পার্কের গেটে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এসময় মিলনের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ জার্নালের।

তিনি বলেন, আমি মনে করেছিলাম পার্ক খোলা আছে। কারণ করোনার মধ্যেই শপিং মলসহ তো সব কিছুই খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে এসে দেখি পার্ক বন্ধ। এজন্য মন কিছুটা খারাপ হয়ে যায়। কারণ যেখানে সংক্রমণের ভয় রয়েছে, সেগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। আর যেখানে এসে মানুষ সুস্থ থাকবে সেটা বন্ধ রাখা হয়েছে!

এরআগে সকাল ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ জার্নালের। তিনি জাদুঘর দেখতে যাত্রাবাড়ী থেকে ৭ বছরের মেয়েকে নিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু’র পর এই প্রথম মেয়েসহ পরিবারকে নিয়ে বের হয়েছি। কারণ এই দীর্ঘ সময় ঘরে থাকায় শারীরিকভাবে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেজন্য আজ মেয়েকে নিয়ে জাদুঘরে এসেছি। কিন্তু এসেই দেখি জাদুঘর বন্ধ!

অন্যদিকে প্রতি ঈদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেনে থাকে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এসব জায়গায় যেতে পারেননি বিনোদন প্রেমীরা।

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত