ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধামরাইয়ে ৯ মাসে ৫১ সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত্যু ৩১

  ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০৪

ধামরাইয়ে ৯ মাসে ৫১ সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত্যু ৩১

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলমান ৯ মাসে ৫১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৩১ জন প্রাণ হারায়। নানাভাবে আরো প্রায় ৯৮ জন আহত হয়েছেন। নিরাপদ সড়ক চাই এর ধামরাই উপজেলা শাখা থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এই মৃত্যুর মিছিল থামাতে পারেনি। ২০২০ সালের সংগৃহীত এক তথ্য প্রকাশ করে 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলনের ধামরাই শাখা। যেখানে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ধামরাই অংশে অর্থাৎ ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় বিশ মিনিটের রাস্তায় চলতি বছরে প্রায় ৫১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তথ্যসূত্রে দেখানো হয়, ৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৯৮ জন আহত ও ৩১ জনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটে। ঢাকা-আরিচার এই মহাসড়কটির জায়গায় জায়গায় রোড-ডিভাইডার ও সড়ক চিহ্ন'র অভাব, ট্রাফিক কন্ট্রোলের অভাব, পরিবহনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, তিন চাকার বাহনের দৌরাত্ম্যই এতো বেশি সংখ্যক দুর্ঘটনার কারণ বলে সড়ক সংশ্লিষ্টরা মতামত দিয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডেই অটোরিকশা, সিএনজিগুলো আসতে আসতে মূল সড়কে চলে আসে। এর ফলেও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

এ ব্যাপারে 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলনের ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া বলেন, বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও সড়কের সিগন্যালগুলোর সংস্কার হচ্ছে না। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা ছাড়াও ব্যস্ততম স্টপেজগুলোতে ওভারব্রিজের প্রয়োজন। সর্বোপরি পরিবহনের প্রতিযোগিতা সড়কের শৃঙ্খলায়নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ কাজে পুলিশকে আরো জোড়ালো ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা। তবে যতদিন না সড়কের ব্যাপারে পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী ও কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে সচেতনতা সৃষ্টি না করবে; সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাবে বলে জানান তিনি।

তবে সড়ক প্রশস্তকরণ ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ জন্য মহাসড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তিন চাকার বাহনের অবাধ চলাচল সড়কটি আরো অনিরাপদ করেছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।

তবে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন মহলের দাবি, পথচারী ও চালকরা কেউ জেব্রা ক্রসিং ও স্পিডব্রেকার সম্পর্কে জানে না। যদি তারা এ বিষয়ে জানতো তবে সড়কে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যেত। রাস্তার স্পিডব্রেকারে সাদা চিহ্ন করে দিতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন দিতে হবে। আর তা পালনে পথচারী ও চালকদের সচেতন করতে হবে।

ধামরাইয়ের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাস্তায় অটোরিকশা, সিএনজি, ইজিবাইক ও হ্যালো বাইক চলছেই।অনেকে আবার দূরপাল্লার গাড়ির সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। হাইওয়ে পুলিশ শত চেষ্টা করেও থামাতে পারছে না এসব।

তবে তুলনামূলকভাবে জনপদ কম থাকায় রাস্তায় নজরদারি কম বলে ধারণা করছে সচেতন মহল।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা গাড়ি চালকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি, তারা যেন নির্দিষ্ট গতির মধ্যে রেখে গাড়ি চালায়। তাছাড়া কোন গাড়ি যদি স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও থামায়, সেসকল গাড়ি ও চালকদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও রাস্তার কোথায় জেব্রা ক্রসিং চিহ্ন দরকার তার একটি তালিকা সড়ক ও জনপদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা আশা করছি কমবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত