ঢাকা, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা

  নিজস্ব প্র‌তি‌বেদক

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫৭

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা র‌য়ে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

বৃহস্প‌তিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

তাজুল ইসলাম ব‌লেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি নির্মিত হলে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এই মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এই অঞ্চলে নতুন হাজার হাজার হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কলকারখানা সৃষ্টি হবে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে অন্যদিকে পর্যটন খাতে খুলবে নতুন দিগন্ত।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সারাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। এটি করা হলে পরবর্তীতে নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হবে।

কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে লিজ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, যারা সরকারি জায়গা, স্থাপনা দখল করে আছেন খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরসহ সে সকল প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা-ঘাটসহ নানা সেবা গ্রহণ করছে তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় নগরীর অভ্যান্তরীণ রাস্তা ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে অর্থের প্রয়োজন যা যোগান দেয়া সিটি কর্পোরেশনের একার সম্ভব নয়। তাই সকল প্রতিষ্ঠানকে সঠিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের নিকট রাজস্ব প্রদানের নির্দেশনা দেন তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম তথা দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাল উদ্ধার ও খনন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের উদ্যোগে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানকেই বিনামূল্যে সরকারি সেবা দেয়া যাবেনা। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেই সবাইকে সেবা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে এই শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারী অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

আরো পড়ুন:

> স্কুলের ভেতর তুলে নিয়ে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

> বাবার সামনেই ডাকাতের গুলিতে খুন ছেলে

> ঝড় নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

> বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে ১০ হাজার দেশীয় জাতের ধান!

> চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন

> বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ

> গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: গ্রেপ্তার আরও একজন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত