ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পোশাককর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০২:৪৫  
আপডেট :
 ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০২:৪৯

কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পোশাককর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ

গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে এক পোশাককর্মী মারা যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এর জেরে শনিবার তার সহকর্মীরা কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন।

নিহত মফিদুল ইসলাম (৩২) স্থানীয় জিম এন্ড জেসি কম্পোজিট লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার সুয়িং অপারেটর এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার চাঁদপুর সিঙ্গা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।

নিহতের সহকর্মী জাহিদ হাসান রনি জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া এলাকার দিলু সাহেবের বাসায় ভাড়া থেকে মফিদুল ইসলাম স্থানীয় ভোগড়া এলাকার জিম এন্ড জেসি কম্পোজিট লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন। শনিবার সকাল ৮টায় কারখানায় এসে মফিদুল কাজে যোগ দেন। কিছু সময় পর তিনি বুকে ও পেটে ব্যাথা অনুভব করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি চিকিৎসার জন্য লাইন ইনচার্জের কাছে ছুটির আবেদন করেন। এসময় তাকে ছুটি না দিয়ে কারখানার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর ইসলাম হোসেন জানান, তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রায় এক ঘন্টা পর সকাল ৯টার দিকে তাকে কারখানার বাইরে যাওয়ার জন্য গেইটপাশ দেওয়া হয়। গেইটপাশ পেয়ে তিনি বাসায় চলে যান। বাসায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ভাড়া বাসার মালিক তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে মফিদুল ইসলাম মারা যান। তার মৃত্যুর খবর কারখানায় পৌছলে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর জোনের সহকারি কমিশনার মো. আহসান হাবীব জানান, মফিদুলের লাশ কারখানায় এনে শ্রমিকরা জানাযার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মফিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে দায়ীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কারখানা থেকে হাসপাতালে নিতে চাইলে শ্রমিকরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানার পার্শ্ববর্তী ঢাকা বাইপাস সড়কের (ভুলতা-নাওজোর) উপর অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করে। পরে বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।

জিএমপির বাসন থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অবরোধের কারণে সড়কের উভয়দিকে যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের আলোচনা হয়। প্রায় এক ঘন্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শ্রমিকরা সড়কের অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এবাদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মফিদৃুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে কারাখানা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত